কমিশনিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রিঅ্যাক্টরটি উন্মুক্ত রেখে বিভিন্ন সিস্টেমের ফ্লাশিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে বিশেষায়িত ‘পোস্ট ইনস্টলেশন ক্লিনিং’ (পিআইসি)।
Advertisement
ফ্ল্যাশিং পদ্ধতিতে সংযোগকারী পাইপলাইন ও প্রাইমারি সার্কিটের পাইপলাইনে মিনারেলমুক্ত পানি রিঅ্যাক্টর ভেসেলে (চুল্লির আধার) প্রবাহিত করা হয়। এর কাজ হলো যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইন স্থাপনের সময় কোনো ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করা।
এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি ডেইরি বলেন, ‘রিঅ্যাক্টর উন্মুক্ত রেখে সক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলোর ফ্লাশিং প্রি-কমিশনিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সবধরনের যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ব্যবস্থার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, এটি হচ্ছে তার মধ্যে প্রথম।’
রিঅ্যাক্টরের সব কিছু সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে কি না এবং এটি অপারেশন্সের জন্য প্রস্তুত কি না তা এই ফ্ল্যাশিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও স্বাভাবিক অপারেশন্স ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পানির পাম্পগুলোর কার্যকারিতাও এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
Advertisement
রূপপর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রাশিয়ার রসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর, যেগুলো সবধরনের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।
শেখ মহসীন/এসআর/এমএস