দেশজুড়ে

‘ডেরকা’ পুকুরে প্রথম এলো পরিযায়ী পাখি, মুগ্ধ গ্রামবাসী

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বান্দিগড় ডেরকা পাড়ায় অবস্থিত ডেরকা পুকুর। আয়তন মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ একর। মূলত পুকুরটি ডেরকা মাছের জন্য বিখ্যাত। তবে এবারের শীতে পরিযায়ী পাখির বিচরণ ও কিচিরমিচির শব্দে মুগ্ধ করেছে গ্রামবাসীকে। আশপাশে বড় বড় পুকুর থাকলেও পরিযায়ী পাখিরা ডেরকা পুকুরকেই বেছে নিয়েছে তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে। পাখিগুলো রাতে পকুরপাড়ের বাঁশঝাড়ে থাকে। আর ভোর হলেই খাবারের সন্ধানে পুকুরে নেমে আসছে।

Advertisement

রাণীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিকে অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম বলা হলেও এবার ডেরকা পুকরেও তাদের আগমন ঘটেছে। এসব পাখি দেখতে স্থানীয়সহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকে।

পাখি দেখতে আসা আরমান হোসেন নামে এক যুবক বলেন, কয়েক দিন হলো ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি। লোকমুখে শুনে এখানে পরিযায়ী পাখি দেখতে এলাম। আসলেই আমি মুগ্ধ। কারণ আশপাশে অনেক গুলো পুকুর আছে কিন্তু অতিথি পাখিগুলো এ পুকুরটিকেই বেছে নিয়েছে। পাখির গুঞ্জন আর পরিবেশটা দেখে ভালোই লাগছে।

বান্দিগড় ডেরকা পাড়ার স্থানীয় সাহাবুর রহমান জানান, এর আগে এখানে এমন পাখি দেখা যায়নি। এবার পুকুরটিতে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি এসেছে। এসব দেখতে অনেক মানুষ আসছে।

Advertisement

স্থানীয় সমসের আলী বলেন, এখানে অনেক গুলো পাখি এসেছে। পাখিগুলোকে যেন কেউ না ধরে বা তাদের বিচরণে বাধা না দেয় এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে বিশেষভাবে নজর রাখার অনুরোধ করছি।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, পাখিদের সুরক্ষার বিষয়ে মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত আছে। পাখিদের অভয়াশ্রম করতে না পারলেও ওই পুকুরে যাতে কেউ পাখি নিধন করতে না পারে এ ব্যাপারে নজর রাখা হবে।

এসজে/এমএস

Advertisement