দিনভর কন্যার বাগদানের অনুষ্ঠান ঘিরে মেতেছিলেন সবাই। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেননা বিয়ের কনেকে অপহরণ করা হয়েছে। ৪০ জনের একটি দল ২৪ বছর বয়সী কনেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে।
Advertisement
শনিবার তেলেঙ্গানার রঙ্গা রেড্ডি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে ওই তরুণীকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে।
অপহৃত তরুণী পেশায় দন্ত চিকিৎসক। পরিবারের অভিযোগ, প্রায় শ’খানেক লোক তাদের বাড়ি ঢুকে মেয়েকে অপহরণ করে। তাদের অভিযোগ, এ ঘটনার কলকাঠি নেড়েছে নবীন রেড্ডি নামে এক ব্যক্তি। নবীন তাদের কন্যা বৈশালীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বৈশালীর বাড়ির ঠিক উল্টো দিকেই একটি নামী চায়ের ফ্রাঞ্চাইজি ও কাফে রয়েছে নবীনের। মেয়ের অপহরণের পর নবীনের দোকানেও ভাঙচুর চালায় বৈশালীর লোকজন।
Advertisement
অপরদিকে, নবীনের দাবি, বৈশালী তার স্ত্রী। এখন সমস্ত সম্পর্ক অস্বীকার করছেন বৈশালী। যদিও বৈশালীর আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, বৈশালী ও নবীনের সম্পর্ক থাকলেও তাদের বিয়ে হয়নি।
পুলিশ বলছে, এক ব্যাডমিন্টন কোর্টে বৈশালীর সঙ্গে নবীনের পরিচয়। সেই সম্পর্কই গড়ায় প্রণয়ে। নবীন একটি গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন বৈশালীকে। এর পরেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নবীন। কিন্তু রাজি হননি বৈশালী। তবে কী কারণে দুজনের সম্পর্কের অবনতি, তা স্পষ্ট নয়। অভিযোগ রয়েছে, এরপর থেকেই বার বার বৈশালীকে হেনস্থা করতে থাকেন নবীন। নবীনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন বৈশালী।
সূত্র: আনন্দবাজার
এসএনআর/জেআইএম
Advertisement