রাজনীতি

সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা

বিএনপিকর্মী মোবারক হোসেন। বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদরে। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে দুইদিন আগে রাজধানীতে এসেছেন তিনি। এখন সমাবেশ শেষের দিকে ঝামেলা এড়াতে বাড়ির উদ্দেশ্যে আগেই এসেছেন কমলাপুরে। মোবারকের মতো অনেক বিএনপিকর্মীই সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফিরছেন।

Advertisement

শফিকুল বলেন, ঢাকায় গণপরিবহন কম। এছাড়া গোলাপবাগ থেকে কমলাপুরও কাছে। তাই ট্রেনে চুয়াডাঙ্গা যাবো।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার পর হঠাৎ করে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপিকর্মীরা গোলাপবাগে এসেছেন।

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পাশে গোলাপবাগ মাঠে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীদের গোলাপবাগ মাঠের দিকে আসতে দেখা যায়। দুপুর নাগাদ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মাঠে জায়গা না হওয়ায় আশপাশের সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কমলাপুর-মুগদা অঞ্চলের সড়কে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। অনেকে গোলাপবাগ থেকে হেঁটে কমলাপুরে এসেছেন।

চট্টগ্রাম মিরেরসরাইয়ের ছাত্রদল নেতা দিলদার হোসেন। চারদিন আগে ঢাকায় এসেছেন। এখন সমাবেশ শেষে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরছেন। দিলদার হোসেন বলেন, বাস চলে না। এজন্য সমাবেশ শেষে ট্রেনে বাড়ি যাবো।

কমলাপুরে বিএনপি লোগো সংবলিত টি-শার্ট, ক্যাপ পরে টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে। তবে হঠাৎ যাত্রী বাড়ায় মিলছে না টিকিট।

কিশোরগঞ্জ ভৈরবের উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী বাবুল হোসেন বলেন, লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছি না।

Advertisement

কমলাপুর রেলস্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হঠাৎ করেই রেলপথে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অনেকে সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। তবে টিকিটের সংকট। যেমন চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসে স্ট্যান্ডিং টিকিটও নেই।

এমওএস/এমএএইচ/এএসএম