জুমআর দিন অত্যন্ত মর্যাদার দিন। আল্লাহ তাআলা এ দিনটি অনেক নেক কাজ সংঘটিত করেছেন। আর এ জন্যই তিনি উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য এ দিনটিকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ হিসেবে দান করেছেন। জুমআর দিনের ফজিলতের কারণেই সর্ব শেষ নবীর উম্মতগণ সবার আগে মর্যাদা ও সফলতা লাভ করবে। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাল বলেছেন, আমরা সর্বশেষ আগত (উম্মাত) জাতি। কিন্তু কিয়ামাতের দিন আমরাই হবো সবার অগ্রগামী। তবে তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে এবং আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের পরে। এটি সেই দিন যা তাদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল, কিন্তু তারা এ দিনটি সম্পর্কে মতভেদে লিপ্ত হলো। আল্লাহ আমাদেরকে এ দিনটির ব্যাপারে হিদায়াত দান করেছেন। অতএব তারা আমাদের পশ্চাদগামী। ইয়াহুদিদের জন্য পরের দিন (শনিবার) এবং খৃস্টানদের জন্য তার পরের দিন (রোববার)। (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)অর্থাৎ মূল কথা হলো- পরকালে (কিয়ামাতের দিন) জুমাআর ফজিলতের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতগণ সকল কার্যক্রমে পূর্ববর্তী সকলের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে যাবে।সুতরাং জুমআর দিনের গুরুত্ব অনুধাবনে সকলকে সতর্ক থাকা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে জুমআর দিনের ফজিলত ও বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement