লোকসানের আশঙ্কায় সরকারি খাদ্য গুদামে আমন ধান-চাল সরবরাহে চুক্তিবদ্ধ হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ঈশ্বরদীর কৃষক ও মিলাররা। শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত ২৭টি মিল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
Advertisement
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় সরকারি ধান-চাল সংগ্রহের তালিকাভুক্ত মিলারের সংখ্যা ৩২৯। এরমধ্যে ১৭টি অটোরাইস মিল ও ৩১২টি হাসকিং মিল রয়েছে। সরকার নির্ধারিত ২৮ টাকা ধান ও ৪২ টাকা চাল সরবরাহ করে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন এ আশংকায় অধিকাংশ মিলার চুক্তিবদ্ধ হয়নি। উপজেলার ইস্তা গ্রামের কৃষক আদম আলী জানান, এবার ধানের ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও মিলছে ভালো। বর্তমানে ধানের বাজারদর এক হাজার ৩৫০ টাকা মণ। সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করলে মণপ্রতি দাম পাওয়া যেত এক ১২০ টাকা। লোকসান দিয়ে সরকারি গুদামে ধান সরবরাহের ইচ্ছা নেই।
ঈশ্বরদী চালকল মালিক সমিতির সভাপতি জুলমত হায়দার বলেন, লোকসান দিয়ে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে মিলাররা আগ্রহী নয়। এজন্য সরকার লাইসেন্স বাতিল করলেও কিছু করার নেই।
খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজ আল আসাদ জানান, চলতি মৌসুমে দুটি গুদামে আমন সংগ্রহ অভিযানে আট হাজার ৫৮৩ টন সিদ্ধ চাল ও ২২ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। এরমধ্যে এলএসডি গুদামে চার হাজার ২৯১ টন চাল, ১০০ টান ধান এবং মুলাডুলি সিএসডি গুদামে চার হাজার ২৯২ টন চাল, ১০০ টান ধান বরাদ্দ দেওয়া হয়।
Advertisement
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমান জানান, গুদামে চাল সরবরাহে এবারে কৃষক ও মিলারদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। জেলার ৫৭৫ তালিকাভুক্ত মিলারের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ঈশ্বরদীর ২৭টিসহ জেলার ৪৯টি মিল চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
শেখ মহসীন/আরএইচ/জিকেএস