বিনোদন

শিল্পকলায় দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ ১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি তিনি এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

Advertisement

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সভাপতি বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী এবং জুরি বোর্ডের আরেক সদস্য পোল্যান্ডের শিল্প-সমালোচক জেরুস্লা সুচান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী চিফ কো-অর্ডিনেটর জনাব লিয়াকত আলী লাকী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিগত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল আয়োজন করে আসছে। আয়োজনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১৪টি দেশের ৪৯৩ জন শিল্পী এবারের শিল্পযজ্ঞে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশি শিল্পী হলেন ১৪৯ জন এবং বিদেশি শিল্পী হলেন ৩৪৪ জন।

Advertisement

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে ১১৪টি দেশের পতাকা নিয়ে কোরিওগ্রাফি। ভাবনা ও পরিকল্পনা করেছেন লিয়াকত আলী লাকী। নৃত্য পরিচালনা করেছেন মেহরাজ হক তুষার।

৮ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০২৩ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় মাসব্যাপী প্রদর্শনী চলবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

প্রদর্শনী পরিদর্শনের জন্য অনলাইনে বিনা মূল্যে নিবন্ধন করা যাবে (bsa.gov.bd/cms). এছাড়া প্রদর্শনীস্থলে তাৎক্ষণিক নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রদর্শনী সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জনা যাবে asianartbiennale.org.bd. ওয়েবসাইটে।

উল্লেখ্য, দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ বিগত ৪ দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজনকৃত এশিয়া মহাদেশের প্রাচীনতম মর্যাদাপূর্ণ একটি আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব।

Advertisement

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গর্বের সঙ্গে এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসবের আয়োজন করে আসছে। মূলত সমকালীন শিল্পকলাকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পপ্রেমী দর্শক ও সংগ্রাহকদের নিকট সুপরিচিত করে তোলার লক্ষ্যে দ্বিবার্ষিক ভিত্তিতে এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।

দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্মসমূহ যেমন, চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনাশিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়ে থাকে। দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীগণ এই সকল শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের সমকালীন চিন্তা-ভাবনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে দেশি-বিদেশি শিল্পী, শিল্পসমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট থিম নিয়ে দুই দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

প্রদর্শনী উপলক্ষ্যে দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীদেরকে প্রদর্শনীর বিভিন্ন আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আতিথেয়তা জানিয়ে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আয়োজনসমূহের মধ্যে রয়েছে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, মাসব্যাপী প্রদর্শনী, আন্তর্জাতিক সেমিনার, নৌভ্রমণ, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানসমূহ পরিদর্শন, আর্টক্যাম্প, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৈশভোজ প্রভৃতি। যেখানে অংশগ্রহণ করেন বিদেশি অতিথিরা।

এমআই/এমএমএফ/ইএ