ধৃমল দত্ত,কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার কোটি টাকা তছরুপের আসামি পি কে হালদারসহ অভিযুক্ত ছয়জনকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে ফের কলকাতা ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছিল। তাদের আরও ৩৫ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৩ জানুয়ারি। ওইদিন সব অভিযুক্তকে ফের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এদিন বাংলাদেশ-ভিত্তিক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে ২১ দিনের জেল হেফাজত শেষে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে নেওয়া হয়। সাড়ে ১২টা নাগাদ তাদের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আগামী ১৩ জানুয়ারি অভিযুক্তদের পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন বিচারক।
আদালতে পি কে হালদারের ভাই এবং অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আগামী ১৩ জানুয়ারি সেই জামিনের শুনানি হবে। আরেক অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং একমাত্র নারী অভিযুক্ত শর্মী হালদারের যথোপযুক্ত চিকিৎসার জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর কাছে রিলায়েড আপন ডকুমেন্টস-এর সফট কপি চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, এদিন আদালতে তা-ও জমা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
ইডি’র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্ত প্রত্যেককেই আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্ত কোন পর্যায়ে সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া এখন বিচার প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়।
Advertisement
বর্তমানে পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছেন প্রেসিডেন্সি কারাগারে আর একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
কেএএ/