আন্তর্জাতিক

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারিয়েছিলেন ইলন মাস্ক

বিশ্বের শীর্ষ ধনীর মুকুটের একক দাবিদার হিসেবে বহুদিন রাজত্ব করেছেন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক। কিন্তু সেই খেতাব আজ হুমকির মুখে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কিছু সময়ের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্বীকৃতি হারিয়েও ফেলেছিলেন তিনি। ওই সময় মাস্ককে হটিয়ে সিংহাসন দখল করেছিলেন ফরাসি ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার।

Advertisement

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব ধরে ইলন মাস্কের। সেসময় অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসকে হটিয়ে এই আসন দখল করেন তিনি।

কিন্তু বুধবার কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী হয়ে গিয়েছিলেন মাস্ক। আর এক নম্বরে উঠে এসেছিলেন বিলাসবহুল পণ্যের ব্র্যান্ড লুই ভুটনের মূল কোম্পানি এলভিএমএইচের প্রধান নির্বাহী বানার্ড আর্নল্ট।

ফোর্বসের হিসাবে, ওই সময় ৫১ বছর বয়সী ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৮৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার (১৮ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার)। আর শীর্ষ ধনী আর্নল্ট পরিবারের সম্পদ ছিল ১৮৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (১৮ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার)

Advertisement

তবে এই অবস্থা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিছু সময় পরেই শীর্ষ ধনীর আসন পুনরুদ্ধার করেন টেসলা প্রধান। এ প্রতিবেদন লেখার সময় তার সম্পদের পরিমাণ দেখা যাচ্ছে ১৮৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার এবং আর্নল্ট পরিবারের সম্পদ ১৮৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গতকালের পর থেকে দুজনেরই সম্পদ কিছুটা কমেছে।

বছরখানেক আগেও ইলন মাস্কের ধন-সম্পদ দেখে কল্পনাও করা যেতো না, এত দ্রুত শীর্ষ ধনীর আসন হারাতে পারেন তিনি। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন এ মার্কিন ধনকুবের।

কিন্তু ২০২২ সালে, অর্থাৎ এক বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি (২০ হাজার কোটি ডলার) সম্পদ খুঁইয়েছেন ইলেকট্রিক গাড়িনির্মাতা টেসলা ও রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক। তার সম্পদের বড় উৎসই হলো টেসলা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বৃহত্তম বাজার চীনে করোনা-সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় ধস নেমেছে।

তাছাড়া সম্প্রতি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনেছেন ইলন মাস্ক। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মাস্ক এরই মধ্যে টুইটারের ৬০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছেন। এসব বিতর্কের জেরে কমে গেছে বিজ্ঞাপনের আয়ও।

Advertisement

তবে নিউরালিংক দিয়ে সম্প্রতি আবারও আশা জাগিয়েছেন মাস্ক। স্টার্টআপটি মানবমস্তিষ্কে কম্পিউটার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভিকেএএ/