কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষির সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য সুষ্ঠু কৃষি ঋণ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘অনেক তরুণ উদোক্তা বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে আসছে। তাদের জন্য ঋণ দরকার। অনেক সময় কৃষকরা এনজিও বা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন। সেজন্য কৃষকদের সহজ শর্তে, কম সুদে, জামানাত ছাড়া বিনা হয়রানিতে ঋণ দিতে হবে। বিষয়টি কার্যকরে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার খামারবাড়িতে বিএআরসি মিলনায়তনে নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতকরণ বিষয়ে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিসেফ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বর্তমান সরকার ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। তারপরেও একটা কম্বাইন হারভেস্টার কিনতে কৃষককে স্থানভেদে ১০- ১৪ লাখ টাকা দিতে হয়। ভর্তুকি দেওয়ার পরও অনেক কৃষক এত টাকা দিয়ে হারভেস্টার কিনতে পারে না। এখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে, কৃষককে ঋণ দিতে হবে।
Advertisement
ব্যাংক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে একসঙ্গে বসে, সমন্বয় করে মাঠপর্যায়ে কৃষিঋণ বিতরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরইমধ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা অনেক বেড়েছে। তবে অনেক মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কম, তারা সীমিত আয় দিয়ে এখনো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। এক্ষেত্রে মানুষের আয় বাড়াতে হবে, এগ্রো প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগ করতে হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিসেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক প্রমুখ।
এনএইচ/এএএইচ/জিকেএস
Advertisement