লাইফস্টাইল

বিয়ের কনেরা ঘরেই যেভাবে করবেন মেনিকিউর-পেডিকিউর

শীত মানেই বিয়ের মৌসুম। এ সময় আবার আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাত-পা ও ত্বক হয়ে ওঠে রুক্ষ্ম-শুষ্ক। তাই বিয়ের কনেদের উচিত সঠিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া।

Advertisement

প্রি-ব্রাইডাল প্যাকেজের আওতায় অনেকে পার্লারে বা বিউটি স্যালুনে গিয়ে বিয়ের আগে স্কিন কেয়ার করেন। তবে সব সময় তো আবার পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই কিছু কৌশল জেনে রেখে ঘরে বসেও ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।

বিশেষ করে শীতে হাত-পায়ের ত্বক বেশি শুষ্ক ও কালচে হয়ে পড়ে। এ কারণে কনেদের উচিত বিয়ের আগে নিয়মিত মেনিকিউর-পেডিকিউর করা। ঘরে বসে খুব সহজেই করা যায় মেনিকিউর-পেডিকিউর।

ম্যানিকিউর-পেডিকিউর কেন করবেন?

Advertisement

হাত ও পা প্রতিদিন দূষণ ও ধুলা-বালির সংস্পর্শে আসে। ফলে ঘামের সঙ্গে ধুলা-বালি মিশে ত্বকে ময়লা জমতে শুরু করে। ফলে আঙ্গুলের ডগা, পায়ের আঙ্গুলের নখে ময়লার মাধ্যমে জীবাণু লুকিয়ে থাকে।

যদি নখগুলো ভালো করে পরিষ্কার না করেন তাহলে ত্বকের মৃত কোষগুলো জমাট বেধে থাকে। মেনিকিউর ও পেডিকিউরের মাধ্যমে স্ক্রাবিং ও ম্যাসাজ করার ফলে হাত ও পায়ের আঙুলের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এমনকি হালকা গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে স্ট্রেস কমে।

কীভাবে করবেন মেনিকিউর ও পেডিকিউর?

কোথায় বসে মেনিকিউর-পেডিকিউর করবেন তা ঠিক করে সামনে একটি ছোট টেবিলে রাখুন মেনিকিউর-পেডিকিউরের সব সরঞ্জাম।

Advertisement

অন্যদিকে একটি বড় গামলায় হালকা গরম পানি নিন, যাতে হাত-পা ডুবিয়ে রাখতে পারবেন। তবে হাত-পা ভেজানোর আগে তা ভালোভাবে হালকা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর স্যানিটাইজার দিয়ে হাত-পা স্যানিটাইজ করুন।

প্রথমে হাত-পায়ের নখে থাকা নেইলপলিশ রিমুভ করে নিন। তারপর গরম পানির মধ্যে পা ও হাত ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট।

এরপর আরেকটি পাত্রে হালকা গরম পানি নিয়ে তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ গরম নারকেল তেল মিশিয়ে তার মধ্যে আপনার হাত-পা ১০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।

হাত ও পায়ের মরা চামড়া দূর করতে স্ক্রাব ব্যবহার করা জরুরি। এজন্য তৈরি করে নিন ডিআইওয়াই স্ক্রাব। ৯ টেবিল চামচ টকদইয়ের সঙ্গে ৬ টেবিল চামচ চিনি ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করুন স্ক্রাব। মিশ্রণটি আপনার একবার পায়ে ও পরে হাতে লাগিয়ে ২-৩ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিন। এরপর আপনার হাত ও পা মুছে নিন।

এবার হাত-পায়ের নখ পরিষ্কার করার পালা। তারপর নখ পরিষ্কার করতে একটি নরম-ব্রিস্টেড পরিষ্কার টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। তারপর নখের কিউটিকলগুলো তুলে ফেলুন। এজন্য অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে কিউটিকল পুশার।

আপনার যদি কিউটিকল পুশার না থাকে তবে আপনি ওয়াশক্লথ ব্যবহার করতে পারেন। কিউটিকল একেবারে কাটবেন না।

কারণ এগুলো ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে নখকে রক্ষা করে। কিউটিকলকে নরম ও সুস্থ রাখতে একটু নারকেল তেল লাগিয়ে নখের চারপাশের ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

এবার নেইল কাটার দিয়ে নখগুলো ভালো করে কেটে নিন। তারপর একটি আলাদা নেইল ফাইল বা আপনার নেইল কাটার দিয়ে ফাইল করুন।

নখের হলুদ দাগ ও মসৃণভাব আনতে চাইলে নেইল বাফার বাফার ব্যবহার করুন। এতে নখ হবে আরও মসৃণ ও ঝকঝকে। চাইলে একটি রসুনের কোয়া নখে ঘষলেও পাবেন মসৃণ নখ।

এ পর্যায়ে টিএলসি লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার হাত-পা ম্যাসাজ করুন। লোশন বৃত্তাকার গতি ব্যবহার করুন। এই ম্যাসাজের জন্য আপনি যতটা চান সময় নিতে পারেন।

চাইলে লোশনে এক দুই ফোঁটা নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ব্যাস হয়ে গেলো মেনিকিউর-পেডিকিউর।

যারা নেইলপলিশে নখ রাঙাতে চান, তারা প্রথমে বেস কালার দিয়ে নিন। তারপর পছন্দের রঙের নেইলপলিশ ব্যবহার করুন।

জেএমএস/জিকেএস