ধর্ম

অনন্য ব্যক্তিত্ব ইবনে হাজার আসকালানী

অসাধারণ এক জগৎ বরেণ্য আলেম। মারজা আল-উলামা উপাধিতে ভুষিত আহমদ বিন আলী বিন মুহাম্মাদ যিনি ইবনে হাজার আসকালানী নামে সুপরিচিতি। তিনি ইলমে হাদিসের একজন প্রখ্যাত মুহাদ্দিস এবং বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ বুখারির ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘ফাতহুল বারীর প্রণেতা। যা প্রণয়নে তাঁর সময় ব্যয় হয়েছিল ৩০। একাধারে তিনি ছিলেন হাফেজ, মুহাদ্দিস, মুফতি এবং কায়রোর প্রধান বিচারপতি। আজ তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো-নাম ও পরিচয়-তাঁর আসল নাম আহমদ। বিভিন্ন তর্থে প্রাপ্ত নাম হলো আহমদ বিন আলী বিন মুহাম্মদ। উপনাম আবুল ফজল। মারজা আল-উলামা, শিহাবুদ্দীন, হাফিজ হলো তাঁর উপাধি। মূলত তিউনিসিয়ার অন্তর্গত কাবেস এলাকার অধিবাসী ছিল তাঁর পরিবার। পরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনের অন্তর্গত আসকালান নামক স্থানে তারা বসতি গড়ে। আসকালানের অধিবাসী ছিল বলে তাকে আসকালানী বলা হয়।জন্ম ও শৈশব-ইবনে হাজার আসকালানী ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৩৭২ খ্রিষ্টাব্দে মিশরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা নুরুদ্দিন আলী ছিলেন বিখ্যাত ফকিহ এবং কবি  ছিলেন। শৈশবেই তিনি পিতা-মাতা উভয়কেই হারান। তাঁর মামার তত্ত্বাবধানে তিনি কুরআন শিক্ষা লাভ করেন। প্রখর মেধার অধিকারী ইবনে হাজার আসকালানী শৈশবে অল্প দিনের মধ্যে কুরআনসহ বেশ কিছু গ্রন্থ মুখস্ত করেন।কর্মজীবন-তিনি কায়রোর আমর ইবনে আস এবং আল আযহার মসজিদের খতিব ছিলেন। খতিব থাকাকালীন সময়ে তিনি এক হাজারেরও বেশি খুতবা প্রদান করেন। এ জগৎ বরেণ্য আলেম ১৫০ এর অধিক গ্রন্থ রচনা করেন। ৩০ বছরের পরিশ্রমে বুখারির ব্যখ্যাগন্থ ‘ফতহুল বারী’ ১২ খণ্ডে সমাপ্ত করেন। ৮২৭ হিজরি সন থেকে তিনি ২১ বছর কায়রোর প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।মৃত্যু-এ মহামনীষী ৮ জিলহজ্জ ৮৫২ হিজরি মোতাবেক ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৪৪৮ মতান্তরে ১৪৪৯ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাআলা আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানীকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর রূহানি ফয়েজ এবং বরকত মুসলিম উম্মাহকে দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি

Advertisement