ফিচার

আজ ব্লু জিন্স পরার দিন

জিন্স পরতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। নারী-পুরুষ সবাই পোশাক হিসেবে জিন্স পরতে পছন্দ করেন। চটজলদি রেডি হওয়ার জন্য জিন্সের জুড়ি নেই। পছন্দের জিন্সের সঙ্গে টি-শার্ট বা শার্ট, নারীদের ক্ষেত্রে কুর্তি বা কামিজ, ব্যাস আর কিছুর দরকার হয় না। জিন্স কম্ফোর্টেলও বটে।

Advertisement

তবে অফিসে ফরমাল পোশাক পরার কারণে জিন্স পরা ভুলেই গেছেন অনেকে। কিংবা সময়ই পাচ্ছেন না। আজ তাদের জন্য বিশেষ দিন। ব্লু জিন্স পরতে পারেন আজ। কারণ ৫ ডিসেম্বর ‘ব্লু জিন্স দিবস’। আমেরিকায় এই দিবস পালন করা হয় জাতীয়ভাবে। এর পেছনে আছে এক লম্বা ইতিহাস।

জিন্স হলো পশ্চিমা ফ্যাশনের অন্যতম ভিত্তি। ধারণা করা হয়, একজন আমেরিকান সাত জোড়া জিন্স কেনেন বছরে। জিন্সের জন্ম ১৮০০ শতকে। তবে ব্লু জিন্সের জন্মদিন হিসেবে ধরা হয় ১৮৭৩ সালের ২০ মে দিনটিকে। কারণ এই দিনেই জ্যাকব ডেভিস এবং লেভি স্ট্রস অ্যান্ড কোং কোম্পানি ব্লু জিন্সের অফিশিয়াল পেটেন্ট পেয়েছিলেন।

প্রথমবার এই ব্লু জিন্স তৈরি করা হয়েছিল মূলত শ্রমিকদের জন্য। খামারের শ্রমিক, রেলের কর্মী, কারখানার কর্মচারী থেকে কৃষক সবাই এই বিশেষ পোশাক পরতো। যার নাম ছিল কোমর ওভারঅল। আমেরিকান শ্রমিক শ্রেণির জন্য এটি ছিল অনেকটা ইউনিফর্মের মতো। শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন গাঢ় নীল রঙের ওভারঅল। কারণ এতে খুব সহজে তেল, ময়লার দাগ বোঝা যেত না।

Advertisement

১৯৩০ সালের দিকে জিন্স ধীরে ধীরে মূলধারায় চলে আসে। শুধু শ্রমিকরাই নন, অন্যান্য সাধারণ মানুষও পরতে শুরু করেন এই জিন্স। বিশেষ করে যখন তখনকার চলচ্চিত্রে এই পোশাক পরা হয়েছিল। ধীরে ধীরে আমেরিকানদের ফ্যাশনের অংশ হয়ে ওঠে নীল জিন্স।

১৯৫০-এর দশকে জিন্স আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন মারলন ব্র্যান্ডো, জেমস ডিন এবং ব্রিজিট বারডটের মতো তারকারা এটি পরেন। নীল জিন্সের সঙ্গে সাদা শার্ট তখন আইকনিক পোশাক হয়ে ওঠে আমেরিকায়।

১৯৯০ সালে আসে ব্যাগি জিন্স যুগ। এটি মূলত জনপ্রিয় হয় হিপ-হপ শিল্পীদের জন্য। যারা রক গান করতেন, এমন শিল্পীরা তখন বড় সাইজের জিন্স পরতেন। যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০০০ সালের দিকে এই পোশাক ছড়িয়ে যায় সারা বিশ্বে। পশ্চিমা পোশাকের পরিচয় বহন করে এই জিন্স। মূলত আমেরিকানরা তাদের এই বিশেষ পোশাকের ইতিহাস মনে রাখতেই এই দিবস পালন করে।

সূত্র: ডেইজ অব দ্য ইয়ার/ ন্যাশনালটুডে

Advertisement

কেএসকে/জেআইএম