শীত আসতেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ছোট-বড় অেনেকেই ভুগছেন। সর্দির সমস্যা কিছুদিনের মধ্যে সেরে গেলেও কফ বুকে বসে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের এ সমস্যা বেশি হয়। আবার বড়দের মধ্যেও দেখা যায় গলায় কফ জমে আছে।
Advertisement
এক্ষেত্রে বারবার কাশির সঙ্গে কফ আসে আবার কখনো কখনো চেষ্টা করেও কফ তোলা যায় না, কিন্তু কফ গলায় আটকে থাকার অনুভূতি হয়।
কফ ও শ্লেষ্মা কিন্তু সংক্রমণের লক্ষণ, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন এ সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। গলায় কফ জমে থাকার অনুভূতি হলে ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে তা পরিষ্কার করবেন জেনে নিন-
হাইড্রেটেড থাকুন
Advertisement
জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে তরল খাবার। এজন্য দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এর পাশাপাশি চা, স্যুপ’সহ স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
নারীদের প্রতিদিন আনুমানিক ১১.৫ কাপ (২.৭ লিটার) পানির প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে পুরুষদের প্রতিদিন আনুমানিক ১৫.৫ কাপ (৩.৭ লিটার) প্রয়োজন হয়।
কফ উপশম করতে, গরম পানি, চা বা আপেল সিডার মিশ্রিত পানি পান করুন। গরম পানি শ্লেষ্মাকে নরম ও পাতলা করবে। ফলে গলা হবে পরিষ্কার।
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন
Advertisement
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করেও আপনি গলায় জমে থাকা কফ পাতলা করতে পারবেন। এজন্য এক গ্লাস গরম পানিতে ২-৩ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন।
দিনে যতবার প্রয়োজন ততবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারবেন। এই ঘরোয়া প্রতিকার শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
পিপারমিন্ট চা পান করুন
পুষ্টিবিদ এবং নিউট্রাসি লাইফস্টাইলের সিইও ডা. রোহিনী পাটিল (এমবিবিএস) জানান, পেপারমিন্ট চায়ে মেনথল আছে।
এটি একটি অপরিহার্য তেল যা ঠান্ডা ও ফ্লু উপসর্গ যেমন- কাশি, কফ, সর্দি, নাক বন্ধ ও মাথাব্যথা উপশম করতে পারে।
এই চায়ে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। যা শরীরকে সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও দ্রুত সুস্থ করতে সাহায্য করে ৷
গরম ভাপ নিন
গরম পানিতে ইউক্যালিপটাস ও রোজমেরির মতো উদ্ভিদের তেল মিশিয়ে ভাপ নিন। এই স্টিম থেরাপি নেওয়ার ফলে শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
নাকের ছিদ্রপথ পরিষ্কার করার জন্য ভাপ নেওয়ার পাশাপাশি রুমালের উপর এসেনশিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা ছড়িয়ে গভীর শ্বাস নিলেও উপকৃত হবেন।
হলুদ
হলুদের পুষ্টিগুণ অনেক। এটি একটি সুপারফুড। ব্যথা উপশম করে, প্রদাহ কমায় ও অনাক্রম্যতা বাড়ায় হলুদ।
ডা. পাটিলের পরামর্শ অনুযায়ী, এক গ্লাস গরম নন ডেইরি দুধে আধা চা চামচ কালো গোলমরিচ, হলুদ ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দ্রুত শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এই রেসিপিতে গরুর দুধ ব্যবহার করবেন না, কারণ দুগ্ধজাত পণ্য শ্লেষ্মা ঘন করতে পারে। এজন্য একটি নন-ডেইরি হলুদ চাও গ্রহণ করতে পারেন।
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন
অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন গ্রহণ শরীরের পানিশূন্যতা বাড়ায়। শ্লেষ্মা ও কফের সমস্যা হলে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস