দেশজুড়ে

বরগুনায় নোটিশ ছাড়াই ১৪৭ প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

বরগুনায় নোটিশ ছাড়াই অর্ধশত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী ছোটবগী বাজারের ১৪৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্দে। এতে ওই ব্যবসায়ীরা পথে বসেছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) তালতলী উপজেলার ছোটবগী বাজারে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনার তালতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ছোটবগী বাজার। অর্ধশত বছর আগে বাজারটি স্থাপন করা হয়। প্রতি শুক্রবার এখানে হাট বসে। বৃহত্তম গরু ও ধানের বাজার বসে এখানে। বাজার সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপরে ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকালে নোটিশ ছাড়াই বরগুনা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ভেকু মেশিন দিয়ে ১৪৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নোটিশ না দিয়ে প্রশাসন ঘরগুলো ভেঙে ফেলেছে। প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরাতেও দেয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানের মালামাল নষ্ট হয়েছে।

Advertisement

বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। কোনোদিন ঘর ভাঙার নোটিশ দেয়নি। হঠাৎ এসে বাজারের সব ঘর ভেঙে দিয়েছে। দোকানের মালামাল সরানোর সুযোগ দেয়নি। আমি এখন মালামাল নিয়ে কোথায় যাবো?’

ছোটবগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইজারাদার মজিবুর রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘এক নিমিষে সব শেষ করে দিয়েছি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করি। আমার ঘরেই ছিল আওয়ামী লীগ অফিস। যেই অফিসে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সেই অফিস নোটিশ ছাড়াই প্রশাসন ভেঙে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে এখানে আর হাট বসবে না, রাজস্ব আদায় বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দ্রুত ছোটবগী বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হিমেল বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা জমিতে অবৈধ ঘর উচ্ছেদে মাইকিং করা হয়েছে। তারপরও ঘর ভেঙে নেয়নি। তাই প্রশাসন অবৈধ ঘরগুলো ভেঙে দিয়েছে।’

Advertisement

বরগুনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ শাখা) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা জমির অবৈধঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এসআর/জেআইএম