খেলাধুলা

দেখতে যেন হুবহু আফ্রিদি

তাকে দেখলেই হুলস্থুল পড়ে যাচ্ছে গ্যালারিতে! সেলফি তোলার অনুরোধ আসছে একের পর এক। কেউ কেউ এগিয়ে দিচ্ছেন অটোগ্রাফের খাতা।এমন আবদার, অনুরোধের ক্রমাগত অত্যাচারে যে কেউ হাঁপিয়ে যেত; কিন্তু তিনি যাননি। বরং হাসি হাসি মুখেই দিনভর সেলফি তুলছেন! দিচ্ছেন অটোগ্রাফও। এমন ধৈর্য কার? কে তিনি? কেনই বা তাকে নিয়ে এত হুলস্থুল? তিনি, নাজার মাহমুদ। শাহিদ আফ্রিদি-র মতো দেখতে হুবহু! আরব আমিরাতে চলমান পিএসলে আফ্রিদির দল পেশোয়ার জালমির খেলা হলে গ্যালারিতে তার উপস্থিত থাকাই চাই।সানগ্লাস থেকে চুলের ছাঁট, কথা বলার ধরন, হাঁটাচলা- সব একইরকমের। নাজার মাহমুদ লেগ স্পিনও করেন! সে কী? এত মিল? হয়? নাজার মাহমুদ জলজ্যান্ত তার প্রমাণ। পেশায় ট্রাক চালক। সে সঙ্গে ছোটখাট ব্যবসাও আছে তার। শারজায় থাকেন।নাজার জানিয়েছেন, ‘অনেকেই বলত, আমি আফ্রিদির মতো দেখতে৷ তাই আমার বন্ধুরা বলল, আফ্রিদির মতো করেই চুল কাটতে। যাতে আরও বেশি বেশি করে আমাদের একরকম দেখতে লাগে। সত্যি সত্যিই তাই হল। চুল কাটার পর থেকে, পথেঘাটে লোকে আমাকে আফ্রিদি ভাবতে শুরু করল! ব্যাপারটায় মজা পেয়ে গেলাম। আরও বেশি করে আফ্রিদির হাঁটাচলা, কথা বলার ধরন খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম৷ নকল করলাম।’ নাজার আরও জানিয়েছেন, ‘আফ্রিদি যেখানে যেখানে খেলতে গেছেন, সেখানেই ছুটে গেছি। কাজের সময় বদলে নেওয়ার দরকার পড়লে, তাই করেছি। জানেন, গলি ক্রিকেটে আমিও লেগ স্পিন করি। আফ্রিদির মতো ওতটা বল ঘোরাতে পারি না। তবে চেষ্টা করি। যতটা আমার পক্ষে সম্ভব।’ তিনি যাকে এত নকল করেন, তার সামনে গিয়ে কখনও দাঁড়িয়েছেন? নাজার মাহমুদ জানান, ‘হ্যাঁ, আফ্রিদি ভাই, আমাকে দেখেছেন। হাতও নেড়েছেন। আফ্রিদি যে আমাকে চিনে, এইভাবে হাত নেড়েছেন, তাতে সত্যিই খুশি হয়েছি। জানেন, তারপর থেকে আমার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে। সবাই আমার সঙ্গে এখন সেলফি তুলতে চাইছেন! দারুণ লাগে সব কিছু।’আইএইচএস/এমএস

Advertisement