পথে পথে লাঠি-সোটা নিয়ে নয়, উৎপাদন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বিসিএস প্রশাসন ও বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে কর্মরত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ‘সংবর্ধনা ও স্মৃতিচারণ’ উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপির আন্দোলন ও মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি লাঠি-সোটা দিয়ে কমানো যায় না, কমাতে হয় উৎপাদন বাড়িয়ে। রাস্তা-ঘাট খোলা রেখে, বাজার সঠিকভাবে চলতে দিতে হবে। গুদামের মাল গুদামে না রেখে বাজারে আসতে দিতে হবে, তবেই মূল্যস্ফীতি কমবে। গাইবান্ধা থেকে ট্র্যাক সরাসরি যেন ঢাকায় প্রবেশ করে সেই ব্যবস্থা সচল থাকতে হবে। কেউ ট্র্যাক যদি থামায়, বাজার বন্ধ করে দেয়, সড়ক বন্ধ করে, তাহলে আমার রিকশাচালক ভাইরা কোথায় চালাবেন, কীভাবে তারা চাল-ডাল কিনবেন?
মান্নান বলেন, প্রতিনিয়তই মূল্য কমছে। মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। গতকাল (বুধবার) মাস শেষ হয়ে গেছে। একটু আগে বিবিএস সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। রোববার মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করবে। আমার বিশ্বাস সামনে আরও কমে আসবে। মাঠে ফসল, পুকুরে মাছ, জমিতে সবজি, মুরগির ডিম অগ্রহায়ণ পৌষ মাসে একটু বেশিই হয়ে থাকে। তাহলে আপনাদের এত ভয় পাওয়ার কী আছে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে নেতার কথা শোনা উচিত।
Advertisement
‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছিলাম এখন দেশের নেতৃত্ব যিনি দিচ্ছেন শেখ হাসিনা তার কথা শুনোও আমাদের দায়িত্ব। শেখ হাসিনা কী বলছেন- অপচয় কমান, অহেতুক ব্যয় করবেন না। এটা আমাদের অর্ডার দিয়েছেন সবার উচিত এটা মেনে চলা।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেকে বলে দেশের খবর কী? শেখ হাসিনা কী করছেন? কেউ বলে খাবারের সংকট এটা কি সত্য? আমি উল্টো বলি আপনারা বলেন তো সত্য কী। দাম কিছু বেড়েছিল আবার কমেও আসছে। আমি বাজারে যাই। কেউ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে আমরা সমস্যায় আছি। আমি পরিষ্কার কথা বলতে চাই- কোনো সংকটে নেই। আমরা কোনো সমস্যায় নেই। যেটুকু আছি সেটুকু একা নয়। এটা কিন্তু বৈশ্বিক সমস্যা। প্রতিবেশী ভারতও সমস্যায় আছে। বিশ্বের বড় দেশও সমস্যায় আছে। তারপরও বড় সমস্যা ইউক্রেন যুদ্ধ, এটা আমাদের আঘাত করছে। এটা শেখ হাসিনার তৈরির বিষয় নয়। বিশ্বের যেখানে যেখানে গণ্ডগোল লাগবে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমাদেরও আঘাত করছে। আগের দুনিয়া এখন নেই। কেউ বলে শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, কেউ বলে এটা করে ফেলবো। সব মরে গেলো, সব শেষ হয়ে গেলো, ধ্বংস হয়ে গেলো, কথাটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, কাগজে-কলমে মন্ত্রীত্ব করলেও আমার মূল কাজ গ্রামে। কারণ এই গ্রামের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি মহান সংসদে। তাদের কাছে ভোটের জন্য দায়ভার আছে, গ্রামের মানুষের কাছে বিভিন্ন কাজের ব্যাখ্যা দিতে হয়।
ন্যাশনাল ফ্রিডম ফাইটার (এফ.এফ) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. এস.এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
Advertisement
এমওএস/আরএডি/জেআইএম