ফিচার

সুন্দরী হতে নিজের ‘গর্ভের ফুল’ খেয়েছেন যারা

চির যৌবনা হতে চান সবাই। বিশেষ করে নারীরা সৌন্দর্যের ব্যাপারে যেন একটু বেশিই সচেতন। সুন্দরী হতে যুগে যুগে মানুষ কত কিছুই না করেছেন। বার বার যার সাক্ষ দিয়েছে ইতিহাস। নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতেই কেউ কেউ হয়ে উঠেছিলেন সিরিয়াল কিলার।

Advertisement

‘ব্লাড কাউন্টেস’ বা ‘কাউন্টেস ড্রাকুলা’ নামে পরিচিত এলিজাবেথ ব্যাথরি চিরযৌবনা হতে পান করেছেন ৬০০ কুমারীর রক্ত। মাংস, কলিজা কিছুই বাদ দেননি। কথিত আছে ছোট বাচ্চাদের ধরে এনে তাদের কলিজা খেয়ে ফেলতেন এই নারী। রক্ত দিয়ে গোসলও করতেন। এই সবই করেছেন যৌবন ধরে রাখতে। হতে চেয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী। তবে যারা ভাবছেন শত শত বছর আগেই এমন বিচিত্র ইতিহাসের শেষ, তারা ভুল ভাবছেন বৈকি। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীরা সৌন্দর্য ধরে রাখতে নানা বিচিত্র কাজ করছেন। অনেকেই সন্তান জন্মের পর গর্ভের ফুল ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলেছন।

এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা না থাকলেও সম্প্রতি এটির ব্যবহার বাড়ছে। অনেক সেলিব্রেটিরাও নিয়মিত খাচ্ছেন নিজেদের প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল। বিভিন্ন সংস্থা গর্ভফুল সংগ্রহ করে ক্যাপসুল, স্মুদি তৈরি করে। এছাড়াও বিভিন্ন মুখোরচোক খাবারও তৈরি করা হয় এটি দিয়ে। অনেকেই দাবি করেন, এটি খাওয়ার পর তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গর্ভ পরবর্তী নানান জটিলতা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন।

এছাড়াও সন্তান প্রসবের পর মায়ের অনিদ্রা, বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে প্লাসেন্টা। এমনকি বুকের দুধও বাড়াতে সাহায্য করে বলেই দাবি অনেকের। মানুষের মধ্যে নিজের প্লাসেন্টা খাওয়ার চল না থাকলে অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী তাদের প্লাসেন্টা খেয়ে থাকে। বিশেষ করে বন্য প্রাণীরা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে যে শক্তি খরচ হয় তা পুষিয়ে নিতে প্লাসেন্টা খায়।

Advertisement

প্লাসেন্টা সংগ্রহ করার পর এটিকে শুকিয়ে গুঁড়া করা হয়, এরপর ছোট ক্যাপসুলে রাখা হয়। অনেকে এটি স্মুদি বানিয়ে খান। চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন কয়েকজন সেলিব্রেটিকে যারা নিজেদের প্লাসেন্টা খেয়েছেন সৌন্দর্য ধরে রাখতে-

কোর্টনি কার্দাশিয়ান৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী ৩ সন্তানের মা। তিনি তৃতীয়বার জন্ম দেওয়ার পর নিজের প্ল্যাসেন্টা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এমনকি প্লাসেন্টা খাওয়ার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোর্টনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাসেন্টা ক্যাপসুল খাওয়ার ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আমার প্ল্যাসেন্টা বড়ি ফুরিয়ে গেলে আমি দুঃখিত হব। তারা জীবন পরিবর্তনকারী!’

জানুয়ারি জোন্স৪৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী জানুয়ারি জোন্স ২০১১ সালে পুত্র সন্তানের মা হন। তবে বেশিদিন বিরতি দেওয়ার মতো সময় ছিল না হাতে। তখন তার জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ম্যাড মেন চলছিল। জোন্স মনে করেন যে তার প্লাসেন্টা খাওয়ার ফলেই তিনি দ্রুত কাজে ফিরতে পেরেছিলেন।

অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোনহলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসিয়া সিলভারস্টোনের বয়স এখন ৪৫। ২০১১ সালে পুত্র সন্তানের মা হন এবং প্লাসেন্টা খান। তিনি এটিকে ‘সুখী বড়ি’ আখ্যা দিয়েছেন।

Advertisement

ক্যাথরিন হেইগল৪৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর তিন সন্তান। ২টি দত্তক নেওয়া এবং ১টি তার নিজের। সন্তান জন্মের পর তিনি নিজের প্লাসেন্টা খেয়েছেন। তিনি তার প্লাসেন্টা একটি কোম্পানিকে দিয়েছিলেন। তারা সেটিকে শুকিয়ে ক্যাপসুলে পরিণত করে।

ম্যাথিউ ম্যাককনাঘি ও ক্যামিলা আলভেসএই তারকা দম্পতি প্লাসেন্টা ক্যাপসুল বা স্মুদি বানিয়ে খাননি। তারা বাড়ির আঙিনায় একটি আম গাছ লাগান। আর সেটিতে সার হিসেবে ব্যবহার করেন প্লাসেন্টা। ম্যাথিউ বলেন, ‘সেই আম গাছটিতে ৯ বছর পর প্রথম আম ধরেছিল, যা আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খেয়েছিলাম’।

সূত্র: ব্রাইট সাইট

কেএসকে/জিকেএস