লাইফস্টাইল

লাল আপেল খাওয়ার দিন আজ

আপেল খেতে কমবেশি সবাই ভালোবাসেন। অনেকে সবুজ বা গ্রিন আপেল খেতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ বেছে নেন লাল টকটকে আপেল। এই দু’ধরনের আপেলেরই স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল আপেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বক ও হৃদরোগের সমস্যার সমাধান করে। প্রবাদ আছে, দৈনিক একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।

আজ কিন্তু লাল আপেল খাওয়ার দিন। ‘ইট এ রেড অ্যাপেল ডে’ প্রতিবছর ডিসেম্বরের ১ তারিখে পালিত হয় বিশ্বজুড়ে। চাইলে আপনিও পরিবার নিয়ে আজ লাল আপেল ও এর থেকে তৈরি বাহারি পদ খেয়ে দিবসটি উদযাপন করতে পারেন।

৬৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে, মানুষ এই মিষ্টি ও সুস্বাদু ফলটি সকালের নাস্তায় খেয়ে আসছেন। আপেলের সঙ্গে আমেরিকার প্রেমের সম্পর্ক ১৯ শতকের গোড়ার দিকে।

Advertisement

জনি আপেলসিড নামক এক ব্যক্তি আমেরিকার পূর্ব উপকূল থেকে মধ্য-পশ্চিম পর্যন্ত রাজ্যগুলোতে আপেল গাছ লাগিয়েছিলেন। তবে প্রথমদিকে আপেল শুধু ব্যবহৃত হতো সিডার তৈরির কাজে।

১৮৭৫ সালে মিষ্টি ও সুস্বাদু এই ফল পেরুর ছোট শহর আইওয়াতে জেসি হিয়াটের মালিকানাধীন একটি খামারে আবিষ্কৃত হয়। তিনি মিসৌরিতে একটি ফলের প্রদর্শনীতে লালরঙা আপেল দেখিয়ে সবাইকে চমকে দেন।

গ্রেট ডিপ্রেশনের সময় লাল আপেলেই ভরসা ছিল সবার। দুর্ভিক্ষের সময় ছোট সম্প্রদায়গুলো আপেল খেয়েই বেঁচে ছিলো।

‘দৈনিক একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না’ এই প্রবাদের উৎপত্তি ঘটে পেমব্রোকেশায়ার, ওয়েলসে। ধারণা করা হয়, ১৮৬০ এর দশকে আটলান্টিক অতিক্রম করে আমেরিকায় আনে।

Advertisement

এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সত্যিই শরীরের জন্য উপকারী। ২০১০ সালে ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন, পুরোনো এই প্রবাদ প্রকৃতপক্ষেই সত্যিই।

সূত্র: ন্যাশনালটুডে

জেএমএস/এএসএম