খেলাধুলা

পিএসএলে আবারও মুখোমুখি সাকিব-তামিম

পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) আবারও মুখোমুখি সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল। তবে, তামিমের প্রতিপক্ষ আজ শুধু সাকিব একাই নন, প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকতে পারেন মুশফিকুর রহিমও। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে করাচি কিংস এবং পেশোয়ার জালমি। করাচি কিংসের জন্য এই ম্যাচটি জীবন-মরন লড়াই। হেরে গেলেই বিপদ। টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যেতে হবে। জিততে পারলে সম্ভাবনা টিকে থাকবে প্লে অফে খেলার। তবে হারলেও সম্ভাবনা টিকে থাকবে করাচির, যদি না লাহোর কালান্দার্স আজ পরের ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে জিততে না পারে। সে ক্ষেত্রে রান রেটের হিসেবে করাচি আর লাহোর কালান্দার্সের মধ্যে যে এগিয়ে থাকবে, তারা উঠে যাবে শেষ চারে। তবে শেষ চারে ওঠার লড়াই শুধু করাচি আর লাহোরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইসলামাবাদও এ দলে যোগ হয়েছে। ৭ ম্যাচে তাদের অর্জণ ৬ পয়েন্ট। আজ যদি তারা লাহোরের কাছে হেরে যায় এবং করাচিও যদি পেশেয়োরের সঙ্গে জিতে যায়, তাহলে তিন দলের পয়েন্টই হয়ে যাবে সমান ৬ করে। তখন রান রেটের হিসেব হবে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারে ইসলামাবাদও। গ্রুপ পর্বের সবগুলো (৮টি) ম্যাচ খেলে ফেলেছে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে শীর্ষে। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে লাহোর কালান্দার্সের ২০১ রানের চ্যালেঞ্জও পার হয়ে গেছে কোয়েটা। ক্রিস গেইলদের তাণ্ডব সত্ত্বেও জিততে পারলো না লাহোর। এই ম্যাচে জিতেই কোয়েটা উঠে গেছে শীর্ষে। সাকিবদের করাচির বিপক্ষে যদি আজ তামিমের পেশোয়ার জিততে পারে তাহলে রান রেটে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি এবং গ্রুপ পর্বে সেরা হয়েই তারা উঠে যাবে প্লে অপ পর্বে।পেশোয়ার জালমির সেরা তারকা হয়ে উঠেছেন তামিম ইকবাল। ওপেনিংয়ে তাদের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি পারফরমার। দু’বার হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকায় ২৬৭ রান নিয়ে রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সঙ্গে খেললে হয়তো রবি বোপারার উপরেই থাকতেন। বোপারা ২৬৯ রান নিয়ে রয়েছেন শীর্ষে। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে দেখতে ব্যাংকক চলে গিয়েছিলেন তামিম। যে কারণে ওই ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। তবে ব্যাংকক থেকে ফিরে আসায় এবার আর তার খেলা নিয়ে সংশয় নেই। বরং, আজই হয়তো তিনি মাথায় পরে ফেলবেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের ক্যাপ।করাচি কিংসে সাকিব আল হাসান প্রথম ম্যাচে দারুণ পারফরম্যান্স করতে পারলেও পরের ম্যাচগুলোতে নিষ্প্রভ। মূলতঃ তাকে ব্যবহারই করা হচ্ছে যেন, পারফরম্যান্স করতে না পারার জন্য। ব্যটিংয়ে নামিয়ে আনা হচ্ছে সাত নম্বরে। বোলিং আনা হয় অন্তত ১০-১২ ওভার পর। তাও বল করানো হয় ২ ওভার। সাকিবের ভালো করতে না পারার খেসারত দিতে হচ্ছে করাচিকেও। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২ ম্যাচই জয় পেয়েছে করাচি। মুশফিককে প্রথম চার ম্যাচ না খেলালেও শেষের তিন ম্যাচ খেলিয়েছে তারা। যদিও সর্বশেষ ম্যাচেই মাত্র ৩৩ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। আইএইচএস/পিআর

Advertisement