বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে চালু হচ্ছে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ স্টার সিনেপ্লেক্সের নতুন শাখা। আসছে ২ ডিসেম্বর এই শাখার উদ্বোধন হবে। ৩ ডিসেম্বর থেকে দর্শকরা সেখানে সিনেমা দেখতে পারবেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
সোমবার (২৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে স্টার সিনেপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিনোদন জগতের তারকারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় (নবাব সিরাজ উদ্দিন রোড) বালি আর্কেড শপিং কমপ্লেক্সে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন এ প্রেক্ষাগৃহ।
সেখানে থাকছে তিনটি প্রেক্ষাগৃহ। আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৮৬ (হল-১), ১৯৬ (হল-২) এবং ১২৫ (হল-৩)। নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থাকছে বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী অনেকগুলো সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলাম আমরা। ধারাবাহিকভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রামে অনেক সিনেমাপ্রেমী দর্শক রয়েছেন যারা স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো একটি মাল্টিপ্লেক্স প্রত্যাশা করেন।
‘আমি নিজে চট্টগ্রামের মানুষ। অনেকেই আমাকে তাদের চাওয়ার কথা বলেছেন। বলা চলে, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। এই দাবি পূরণের কাজটি আরও আগেই করতে চেয়েছিলাম। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। এবার কাজটি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
মাহবুব রহমান রুহেল আরও বলেন, ‘দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসারে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলা সিনেমার সুদিন আবার ফিরে আসবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সংস্কৃতি আবার চালু হবে। এর জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন সেটা তৈরির চেষ্টা করছি আমরা।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। বর্তমানে ঢাকায় ৫টি শাখা রয়েছে এর। ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার (সাবেক রাইফেলস স্কয়ার), মহাখালীর এসকেএস (সেনা কল্যাণ সংস্থা) টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার এবং বিজয় সরনির সামরিক জাদুঘরে শাখাগুলো অবস্থিত।
Advertisement
এ ছাড়া ঢাকার বগুড়া এবং রাজশাহীতে নতুন শাখার নির্মাণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
এমআই/এমএমএফ/এএসএম