নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ১০ দফা দাবিতে শনিবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে বরগুনায়ও এ ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে বরগুনা নদীবন্দর থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ।
Advertisement
এদিকে লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসাসহ জরুরি কাজে ঢাকাগামী যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। অসুস্থ রোগী নিয়ে বাসে যাত্রা করা সম্ভব হচ্ছে না। শীতের কারণে শিশুসহ পরিবারের বয়স্ক পরিবার-পরিজন নিয়ে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বরগুনার খাজুরতলা এলাকার সৌরভ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে অসুস্থ তাকে নিয়ে লঞ্চে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেবিন বুকিং করতে এসেছি। কিন্তু জানতে পারি লঞ্চ ধর্মঘট চলছে। এখন অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে কীভাবে ঢাকা যাবো বুঝে উঠতে পারছি না।’
ঢাকাগামী যাত্রী কবির মিয়া বলেন, ‘আমার নাতিসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কেবিন বুকিং করতে এসেছি। এসে শুনি ধর্মঘটের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। এ শীতের মধ্যে শিশুসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে বাসে যাওয়া সম্ভব নয়।’
Advertisement
ঢাকা নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মো. মহসিন বলেন, বিভিন্ন দাবিতে একাধিকবার ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কিন্তু বারবারই আমরা আশ্বাস পেয়েছি কোনো দাবি মানেনি লঞ্চ মালিকপক্ষ। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছি। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
দাবিগুলো হলো- নৌযান শ্রমিকের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দেওয়া, বাল্কহেডের রাতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণ, বন্দর থেকে পণ্যপরিবহন নীতিমালা ১০০ শতাংশ কার্যকর করা, স্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এসজে/জিকেএস
Advertisement