সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে। তবে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে এক পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। একইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে যায়।
Advertisement
তবে লেনদেনের সময় পাঁচ মিনিট না গড়াতেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠে সূচক। লেনদেনের ৮ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ৬ পয়েন্ট। অবশ্য এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের ৯ মিনিটের মাথায় সূচক আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
এরপর অবশ্য সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫২ মিনিটে ডিএসইতে ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২টির। আর ১৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬৬ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
Advertisement
এমএএস/কেএসআর/এমএস