প্রবাস

অবশেষে মিশর ভ্রমণে ভিসা জটিলতা কাটলো

মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় অভিযোগ করছিল অনেকেই। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ভিসা জটিলতা দূর করার জন্য মিশরের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসমাইল খায়রাতের সঙ্গে দেখা করেন।

Advertisement

প্রথমেই রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বিশেষ শর্তে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা মঞ্জুর করার জন্য ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে তারা উভয়ে একমত হন, এই ব্যবস্থার কারণে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্যিক ভ্রমণ বৃদ্ধি পাবে।

এভাবে উভয় দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত হবে। অন্যান্য সাধারণ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য রাষ্ট্রদূত ভিসা সহজীকরণের জন্য অনুরোধ করলে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ভিসা সাধারণত দুই সপ্তাহের বেশি লাগার কথা নয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।

রাষ্ট্রদূত সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে অবহিত করেন, প্রচুর বাংলাদেশি ছাত্র বর্তমানে মিশরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে আগ্রহী। বিশেষ করে তাদের জন্য বিশ্ববিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা একটি স্বপ্নের বিষয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অনেক বাংলাদেশি ছাত্র মিশরে আসতে আগ্রহী।

Advertisement

সম্প্রতি বাংলাদেশি ছাত্রদের মিশরীয় ভিসা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিলম্বজনিত জটিলতা ও সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টা বিশেষ করে শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার পরও ভিসা বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি সহকারী মন্ত্রীকে অবহিত করার পর তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও স্ট্যাট সিকিউরিটির সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন।

ছাত্রদের ভিসার বিষয়ে সহকারী মন্ত্রী জানান, নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রাপ্তির জন্য কিছু সময় লাগে বিধায় এই ভিসা প্রাপ্তিতে অন্তত দুই মাস সময় লাগে।

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা উভয়ে একমত হন, ভিসা সহজীকরণ এবং কায়রো-ঢাকা সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার মাধ্যমে দুই দেশের সুসম্পর্কের নতুন গতি পাবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন।

Advertisement

এমআরএম/এএসএম