সাহিত্য

মনদীপ ঘরাই-এর দুটি কবিতা

ধোঁয়া

Advertisement

কোথায় যাচ্ছো তুমি?দূরে যাচ্ছো এটুকু আমি নিশ্চিত।উড়ে যাচ্ছো এটুকুও নিশ্চিত।তোমার চুল যখন সূর্যের শিখার মতো রং মশাল জ্বালিয়ে স্ফুলিঙ্গ হয়ে জ্বলছে...তুমি পুড়ে যাচ্ছো সেটুকুও আমি নিশ্চিত।তুমি আকাশে যা দেখছো,আমিও ঠিক তা-ই দেখি।পার্থক্য এটুকুই...তুমি দেখে থেমে যাও;আমি লিখি।একটু আগুন দেবে?পোড়াবে আমাকে?আমি পুড়ে পুড়েধোঁয়া হয়ে মেঘের কাছে বার্তা পাঠাবো;বৃষ্টি নামানোর বার্তা।ঝুম বৃষ্টি না হলেও চলবে।মেঘের পকেটে থাকা দু’চারটে ভাঙতি বৃষ্টিই যথেষ্ট।দেখো, বৃষ্টি নামবেই।আমি তো ধোঁয়া হয়ে হারিয়েই গেছি।বৃষ্টি নামলে নিজেকে তুমিখুব দরদে ভিজিয়ে রেখো।ভিজতে ভিজতে সূর্য থেকেশীতল একটা চাঁদ হয়ে ঘুমিয়ে থেকো।

****

এ মুহূর্তই কি শেষ

Advertisement

আমাদের কতটা হারিয়ে গেছে? কতটা বাকি আছে হারানোর?একটা জীবন পেয়ে হারাতে হবে, জেনেই তো এসেছিলাম।তবু হারাবার দুঃখ; হারাবার ভয়।শেষ বিকেলে মানুষ কী ভাবে?হিসেব-নিকেষ করে কোনো?কিংবা বিলাপ…জবাব দিয়ে যেতে পারে না কেউ;পৃথিবীর পুরো পর্বে ওটুকুই তো একান্ত সময়।আমার মৃত্যুর আগে আমি কী ভাববো?ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টি খুঁজবো আমার চোখের ওপর;কেউ যেন দেখতে না পায়,পৃথিবী ছেড়ে যেতে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার!যেমন কষ্ট হয় বাড়ি ছেড়ে যেতে;কিংবা বেড়াতে গিয়ে আবার বাড়ি ফিরতে।যাত্রাই তো কষ্টের। যাত্রাই তো ক্লান্তির।মানুষ এক জায়গায় থিতু হতে চায়; আজীবন।অথচ ভুলে যায়, সে জায়গাটাই তার ছিল না কোনোদিন।শেষমেষ মানুষগুলো-চিনির দানার মতো পানিতে গলে যায়;দোকানের পুরাতন চায়ের কাপে।

এসইউ/জিকেএস