চকবাজারের নিমতলীর ভয়াবহ আগুনে মারা গিয়েছিলেন ১২৪ জন। এছাড়া তাজরীন ফ্যাশনে আগুনে ১১১ জন পোশাক কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। এসব ঘটনার ক্ষত ও শোক এখনো কাটেনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর।
Advertisement
এমন ঘটনা বাংলাদেশে যাতে আর না ঘটে এজন্য ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করেছে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অষ্টম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোতে এই সেমিনার করা হয়।
সেমিনারে ইসাব’র যুগ্ম সচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশকে ও দেশের পোশাক খাতকে আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে চাই। প্রতিটি স্কুলে বাচ্চাদের এই বিষয়ে জ্ঞান দিতে চাই, সচেতন করতে চাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাচ্চাদের ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশে এটা শুরু হয়নি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি পাঠ্যপুস্তকেও ফায়ার সেফটির বিষয়টি সংযুক্ত করতে পারবো। এই খাতকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবো।
নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সেফটির বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। সচেতনতার জন্য ট্রেনিং দিতে হবে। বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি এ বিষয়ে সরকারকে বাধ্য করেত।
বর্তমানে ফায়ার সেফটির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্প কারখানা সবসময় মনিটরিং করতে হবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করছে, বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে জানিয়ে এই স্থপতি বলেন, আমরা সবাই জানি আগুন ধরার অন্যতম কারণ গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রতিবছর ইলেকট্রিক ও লিফট মেইনটেন করতে হয়। এটা আমাদের জন্য নতুন মনে হতে পারে, কিন্তু পাশের দেশ ভারত-শ্রীলঙ্কা এগুলো করে থাকে।
Advertisement
ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও হংকংসহ ৩০টিরও বেশি দেশের ১৬০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশ নিয়েছে।
এই এক্সপোতে চারটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রযুক্তিগত সেমিনার আয়োজন করছে। যার মধ্যে দুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি দুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৫ নভেম্বর।
২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নিবন্ধিত দর্শনার্থীদের জন্য এক্সপো উন্মুক্ত রয়েছে। বিনামূল্যে নিবন্ধনের জন্য অনুষ্ঠানস্থলে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা ইভেন্টের ওয়েবসাইটের www.ifsse.com মাধ্যমেও নিবন্ধন করতে পারেন।
এনএইচ/জেডএইচ/এএসএম