নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনের গল্প শিল্পের ছোঁয়ায় ম্যুরালের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের চাওয়া-পাওয়া, আশা ও স্বপ্নভঙ্গের নানা চিত্র তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
Advertisement
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের অংশীদার সংস্থা আর্টোল্যুশনের সঙ্গে মিলে শিল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার অভাবনীয় উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন কার্টুনিস্ট রাশাদ ইমাম তন্ময়। ভাসানচরের ম্যুরাল নিয়ে বুধবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও ও কার্টুনিস্ট । রাশাদ ইমাম বলেন, যে শিশুরা জীবনে কখনো রং-তুলি ধরে তারাই আমাকে ১৭০ ফুট দীর্ঘ পেইন্টিং শেষ করতে সাহায্য করেছে। এ ম্যুরালটিতে শরণার্থীদের জীবন, আত্মপরিচয় এবং মানসিক শান্তির সন্ধান উঠে এসেছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ইউএনএইচসিআর ও মানবিক সংস্থাগুলো ভাসানচরে বিভিন্ন পরিষেবা ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
বর্তমানে প্রায় ২৭ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরে রয়েছে, যার প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। এরই মধ্যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, পুষ্টি, পানি ও পয়োনিষ্কাশনের মতো সেবাগুলো দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ইয়োহানেস ভন ডার ক্লাও বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছে। এরকম ছবিগুলো আঁকার মাধ্যমে তারা কিছুটা হলেও প্রশান্তি খুঁজে পাবে। তাদের ক্ষতিগ্রস্ত মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে শৈল্পিক এ ম্যুরাল অসামান্য হাতিয়ার। পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে আর্টোল্যুশন কক্সবাজারে ও ১৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করছে। শরণার্থীরা এ ছবিগুলোর মাধ্যমে তুলে ধরছে তাদের আত্মপরিচয়, দুঃসহ অতীত, বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।
এমকেআর/এএসএম
Advertisement