আন্তর্জাতিক

পর্তুগাল থেকে হঠাৎ দেশে ফিরতে মরিয়া ব্রাজিলিয়ানরা

ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো পর্তুগালেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে হু হু করে। এরই মধ্যে সেখানে মূল্যস্ফীতির হার ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রেকর্ড দাম বেড়েছে সম্পত্তিরও। ফলে দেশটিতে বসবাস হয়ে উঠেছে প্রচণ্ড ব্যয়বহুল। এতে সমস্যায় পড়েছেন অভিবাসীরা, বিশেষ করে ব্রাজিলের নাগরিকরা।

Advertisement

পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম দ্য পর্তুগাল নিউজের তথ্যমতে, টানা ষষ্ঠ বছর ইউরোপীয় দেশটিতে ব্রাজিলিয়ান নাগরিকের সংখ্যা বেড়েছে। পর্তুগালে বর্তমানে ২ লাখ ১১ হাজারের বেশি ব্রাজিলিয়ান অভিবাসী রয়েছেন।

ব্রাজিলের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ফলহা ডি সাও পাওলো বুধবার (২৩ নভেম্বর) জানিয়েছে, পর্তুগালে জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বদেশে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বহু ব্রাজিলিয়ান। তবে প্লেনের টিকিটের খরচ জোগাড় করতে না পেরে স্থানীয় কনস্যুলেট এবং সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর কাছে সাহায্য চেয়েছেন অনেকে। তাদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছেন, যারা পর্তুগালে পৌঁছেছেন এক মাসও হয়নি।

এ অবস্থায় লিসবনের ব্রাজিলিয়ান কনস্যুলেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুরোধ উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে। অনুরোধকারীদের দাবি, তারা ব্রাজিলে ফেরার খরচ বহন করতে অক্ষম।

Advertisement

তবে এ ধরনের প্রত্যাবাসন ফ্লাইটের জন্য টাকা দিতে কনস্যুলেটের কোনো আইনি অধিকার বা বাজেট বরাদ্দ নেই বলেও জানানো হয়েছে।

সেক্ষেত্রে স্বদেশে ফিরতে ইচ্ছুক ব্রাজিলিয়ানদের প্রধান উপায় হতে পারে জাতিসংঘ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ‘স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন ও পুনঃএকত্রীকরণ সহায়তা কর্মসূচি’। পর্তুগালে এই সহায়তা পাওয়া লোকদের মধ্যে ৯০ শতাংশই ব্রাজিলের নাগরিক।

ফলহা ডি সাও পাওলো জানিয়েছে, ২০২২ সালে এ পর্যন্ত ২৪৩ জনকে টিকিট কেটে ব্রাজিলে পাঠিয়েছে আইওএম। এদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ পর্তুগালে এক বছর বা তার চেয়েও কম সময় ধরে ছিলেন এবং ৯১ শতাংশ অস্বাভাবিকভাবে বসবাস করছিলেন।

কেএএ/

Advertisement