অস্ট্রেলিয়ার গালে দারুন একটা চপেটাঘাত, যুব বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন। নিরাপত্তার অজুহাত তুলে তারা বাংলাদেশে সিনিয়র দল পাঠায়নি গত বছর অক্টোবরে। একই অজুহাতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত কোন সমস্যা, কোন বিঘ্নতা ছাড়াই আয়োজন হয়ে গেলো যুব বিশ্বকাপের। শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম নয়, সঙ্গে সিলেট, কক্সবাজার এবং নারায়নগঞ্জসহ মোট ৮টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হলো যুব বিশ্বকাপের খেলাগুলো। ১৬ দেশের এই টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন আইসিসির প্রশংসা কুড়িয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি প্রেসিডেন্ট জহির আব্বাস এবং প্রধান নির্বাহী ডেডিভ রিচার্ডসন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের প্রত্যাশা করেন তারা।সফল এই আয়োজনের পরও বাংলাদেশের এখনই উৎসবে মাতার সময় নেই। বরং সামনে যেন আরও বড় পরীক্ষা। এতদিন সামলাতে হয়েছে যুব দল। এবার সামলাতে হবে বড়দের। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকাতেই বসতে চলেছে ৮ দলের এশিয়া কাপের আসর। যুব বিশ্বকাপ আয়োজনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আবার মাঠে নেমে পরেছে বিসিবি। এর আগেও এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। ফলে অভিজ্ঞতার মোটেও কমতি নেই বিসিবির। বরং, সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই আসরকে কিভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই চেষ্টাই করবে বাংলাদেশ।আজ (মঙ্গলবার) রাতেই চট্টগ্রামের ক্যাম্প শেষ করে ঢাকায় ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আপাতত দু’দিনের ছুটি মাশরাফিদের। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করবে স্বাগতিকরা। ২১ ফেব্রুয়ারি ভারত ও শ্রীলংকার পৌঁছে যাওয়ার কথা ঢাকায়। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানেরও পৌঁছে যাওয়ার কথা; কিন্তু এখনও এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেনি পাকিস্তান। শ্রীলংকারও একই অবস্থা। তবে তারআগে বাছাই পর্ব খেলতে বুধবারই বাংলাদেশ পৌঁছে যাচ্ছে ওমান, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং হংকং।জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত খুলনায় অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে অনুশীলন ম্যাচ, এরপর চট্টগ্রামে দলের ফিটনেসের উপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ দল। নজর দেয়া হয়েছে ব্যাটিং, বোলিংয়ে। ম্যাচের প্রথম পাঁচ ছ’ওভার ব্যাটে-বলে যা করতে হবে, ডেথ ওভারেও তেমনটা হবে। এরকম নানা বিষয়, হিসাব-নিকাশ নিয়ে দলকে তৈরি করেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সবার আলাদা আলাদা দায়িত্ব। এখনও পর্যন্ত যা প্রস্তুতি, তাতে বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। ছোটরা যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে প্রমাণ করেছেন। এবার পালা বড়দের। বেড়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশাও। অধিনায়ক মাশরাফি দলের প্রস্তুতি নিয়ে খুশি। প্রথম চারটি ম্যাচেই নিজেদের সেরাটা দিতে চাইছে বাংলাদেশ।যদিও এশিয়া কাপে তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাকে না পাওয়া যে, দলের জন্য একটা বড় ধাক্কা, মেনে নিচ্ছেন স্বয়ং অধিনায়ক মাশরাফিও। তবে, তামিমের পরিবারের পাশে থাকার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। যে দল হয়েছে তা নিয়েই এশিয়া কাপে বাজিমাত করতে প্রস্তুত স্বাগতিক দল। এটাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া সব দলের জন্যই।আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement