জাতীয়

২০ হাজার টাকা আয়েও থাকতে হচ্ছে ঝুপড়ি ঘরে

# দ্রব্যমূল্য বাড়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে# পরিবারের বাড়তি টাকার প্রয়োজন হলে ধার-দেনা করতে হয়# খাদ্য-শিক্ষা-চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত# নষ্ট হচ্ছে শ্রমঘণ্টা, কমেছে সাধারণের গড় আয়ু

Advertisement

মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে আয় কমেছিল দেশের বহু মানুষের। অনেকে হারিয়েছিলেন চাকরি। সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই এলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্বজুড়ে তৈরি হলো সংকট। সেই প্রভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষও। গত কয়েক মাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। জ্বালানির দাম আকাশচুম্বী। যার প্রভাব সব শ্রেণির মানুষের ওপর।

রাজধানী ঢাকার আবাসনের ওপর চালানো এক গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যাদের আয় ২০ হাজার টাকার মধ্যে তারা সংসার চালাতে এখন ঝুপড়ি ঘরে থাকছেন। ৩০ হাজারের মধ্যে আয় হলে তাদের ভরসা এখন ১০ হাজার টাকার মধ্যে সাবলেট।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মধ্যবিত্তের আয় কমছে, বিপরীতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকলে মানুষ যখন পিষ্ট, তখন বেড়েছে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা। এতে তীব্র হচ্ছে আয় বৈষম্য। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। সংসারের খরচ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা, শিক্ষার ব্যয় বহনে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকে।

Advertisement

একই সঙ্গে খরচ বাড়ায় টান পড়ছে সঞ্চয়ে। অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে মেটাচ্ছেন সংসার খরচ। আয়ের বড় অংশই চলে যাচ্ছে আবাসনে। আর আবাসনে আয়ের সিংহভাগ চলে যাওয়ায় সংসারের খরচ জোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। খরচ বাঁচাতে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থাভাবে নগরে বসবাসকারীদের কোয়ালিটিপূর্ণ লাইফ কমে যাচ্ছে। এতে কমছে গড় আয়ু। এসব বৃহৎ মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা নিরাপত্তায় সরকারি ব্যবস্থাপনা জরুরি। একই সঙ্গে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। এটা না হলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। দেশের বড় অংশ বেকার হবে, নষ্ট হবে কোটি কোটি শ্রমঘণ্টা।

সরেজমিনে রাজধানীর পুরান ঢাকা, মতিঝিল, বাসাবো, খিলগাঁও, বাড্ডা, গুলশান, বসুন্ধরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় শতাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। এতে উঠে আসে, যাদের আয় ২০ হাজার টাকার মধ্যে তারা সংসার চালাতে খরচ কাটছাঁট করছেন। থাকছেন ঝুপড়ি ঘরে। সাবলেট বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে। বাড়তি খরচ থেকে বাঁচতে পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে ব্যাচেলর জীবন-যাপন করছেন অনেকে। বড় সাইজের ফ্ল্যাট-অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেছে নিচ্ছেন ছোট ফ্ল্যাট। লাখ টাকার বেশি আয় না করলে বড় মাপের ফ্ল্যাটে থাকার সামর্থ্য নেই কারোরই।

Advertisement

এ বিষয়ে গবেষণা করেছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। রিহ্যাবের গবেষণা সেল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, ধানমন্ডি, হাজারিবাগ, মিরপুর, গুলশান, বনানী ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় গবেষণাটি পরিচালনা করে।

গবেষণাটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় যাদের আয় ২০ হাজার বা ২০ হাজার টাকার মধ্যে তাদের ভরসা ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে কোনো ঝুপড়ি ঘর। এ ঘরে পরিবার নিয়ে কোনোরকমে থাকছেন তারা। যাদের আয় ২১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা তারা থাকছেন ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় সাবলেট। ৩১ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয়কারীরা থাকছেন ছোট আকারের কোনো ফ্ল্যাটে। যেগুলোর ভাড়া ১১ থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে। আর যাদের আয় ৪১ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে তারা থাকছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার ফ্ল্যাটে। যেগুলোর আয়তন ১১০০ থেকে ১১৫০ স্কয়ার ফুট।

আর ৫১ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয়ের মানুষের ভরসা ১১৫০ থেকে ১২০০ স্কয়ার ফুটের কোনো ফ্ল্যাট, যেগুলোর ভাড়া ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ৮০ থেকে এক লাখ টাকা আয়ের মানুষ থাকছেন ১২০০ থেকে ১৫০০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাটে- যেগুলোর ভাড়া ৩১ থেকে ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ভালো মানের ১৫০০ স্কয়ার ফুট বা তার চেয়ে একটু বড় কোনো বাসায় থাকতে হলে অবশ্যই এক লাখ টাকার বেশি তাকে আয় করতে হবে। যেগুলোর ভাড়া ৪০ হাজার টাকা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি।

মাসুদ হাসান থাকেন রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায়। প্রায় আট বছর ধরে ঢাকায় তিনি। স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন। একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনে। করোনাকালীন তার চাকরি চলে যায়। এনজিও থেকে লাখ টাকা ঋণ নিয়ে একটি মোটরসাইকেল কিনেছেন। এখন তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে রাইডে ভাড়া চালান। এতে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় আসে তার।

তিনি বলেন, আমার একটি মেয়ে। এখন চার বছর চলছে। আগামী বছর তাকে কোনো একটি স্কুলে ভর্তি করতে হবে। ঝুপড়ি ঘর ভাড়ায় পাঁচ হাজার টাকা চলে যায়। মোটরসাইকেল অন্য একটি গ্যারেজে রাখি। সেখানে দিতে হয় এক হাজার টাকা। মেয়েকে স্কুলে কীভাবে পড়াবো তা নিয়েই চিন্তা হয়।

রিহ্যাব সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, এখন সব কিছুর দাম বেড়েছে। নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে কম দামে ফ্ল্যাট কেনা বা হস্তান্তর সম্ভব হয়ে উঠছে না কোম্পানিগুলোর। নিম্ন আয়ের মানুষের ভালোভাবে বসবাসটা হয়ে উঠছে না। তবে নির্মাণসামগ্রীর দামসহ নিত্যপণ্যের দাম কমলে মানুষের আবাসন সমস্যার সমাধান হবে। যেহেতু বাসা ভাড়ায় আয়ের বড় অংশ চলে যাচ্ছে, এক্ষেত্রে সবার জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে ২০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড করে দিতে পারে সরকার। এতে অনেকটাই সমাধান আসবে নগরের অধিবাসীদের।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক আদিল মুহাম্মদ খান জাগো নিউজকে বলেন, বাসযোগ্য নগরী গড়তে এলাকাভিত্তিক ম্যাপিং করে শহরকে বসবাসের উপযোগী করা যায়। আবার ওয়ার্ডভিত্তিক নগর পরিকল্পনা প্রণয়নে টেকসই নগর গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য সব শ্রেণির আয়ের মানুষের জন্য বাসযোগ্য নগর প্রয়োজন। লাখ লাখ মানুষের বসবাস এড়িয়ে কোনো উন্নয়ন সম্ভব হবে না। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের আবাসনের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে।

কথা হয় মতিঝিল এলাকায় একটি কোম্পানির সিকিউরিটিতে কাজ করা আসলাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এক যুগ ধরে ঢাকায় কাজ করছি। কিন্তু এখনো পরিবার নিয়ে থাকার সাহস করতে পারিনি। প্রতি মাসে ২৩ হাজার টাকা বেতন আসে, সাবলেট বাসা ভাড়ায় চলে যায় ৮ হাজার টাকা। গ্রামে বাবা-মা, স্ত্রী আর এক সন্তান আছে, তাদের টাকা দিতে হয়। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তখন অন্য কারও কাছ থেকে টাকা ম্যানেজ (ধার-দেনা) করে চলতে হয়।

তিনি বলেন, ভালোমানের খাবারের কথা চিন্তায়ও আনি না। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বছরের ঈদকেন্দ্রিক মাংস খাওয়া হয়। তবে অফিসের কোনো অনুষ্ঠান হলেই সেখানে ভালোমানের খাবার পাই, এতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে এসব মানুষের।

রাসেল আহমেদ এক মেয়ে নিয়ে থাকেন শান্তিবাগ এলাকায়। মেয়ে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পেশায় প্রাইভেটকারচালক রাসেল এখন সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মেয়ের কোচিং বা মানসম্মত পোশাকও কিনে দিতে পারছেন না।

রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, এর আগে বাসাভাড়া আর মেয়ের পড়ার খরচ চালিয়ে কোনোরকম চলতে পেরেছি। এখন আর আগের মতো নেই। গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে, যা বেতন পাচ্ছি বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ জোগাতেই শেষ- সঞ্চয় নেই।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন, যা আমাদের কাম্য নয়। এ কারণে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত অসহায় হয়ে পড়ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে এমনটা হচ্ছে। এটি রোধে সংশ্লিষ্টদের জোরালো ভূমিকা রাখা দরকার।

নগরবাসীর স্বাস্থ্য-চিকিৎসা-শিক্ষা বিষয়ে কথা হয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, যারা ঢাকায় এ আয়ের মধ্যে থাকে তাদের একটা বড় অংশই নিম্ন বা মধ্যবিত্ত। তাদের আয়ের বড় একটি অংশই থাকা বা খাবার খরচে চলে যায়। এতে তারা খাদ্য-শিক্ষা-চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে ছোট বা বড় কোনো সংক্রমণ (অসুখ) হলেও তারা চিকিৎসা নিতে পারেন না অর্থের অভাবে। আবার সরকারি হাসপাতালেও সেটা পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না। ফলে চিকিৎসা সেবা-শিক্ষা অবহেলিত থাকে।

ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, এদের কোয়ালিটিপূর্ণ লাইফ কমে যাচ্ছে, এতে গড় আয়ু কমে যায়। এসব মানুষের হেলথ সেফটি, শিক্ষা সেফটি আনতে সরকারি ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। এটা না হলেও দেশের বড় অংশ বেকার হবে, কোটি কোটি শ্রমঘণ্টা নষ্ট হবে, অর্থনীতিতে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

ঢাকায় আবাসনেই আয়ের অর্ধেক চলে যাচ্ছে সাধারণের। এতে সংসারে খরচ চালাতে গিয়ে শিক্ষা-স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। এ সমস্যা সমাধানে সরকারের ভাবনা বিষয়ে কথা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রণীত নতুন ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক ও নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমরা মধ্যবিত্তদের জন্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এলাকাভিত্তিক এক লাখ অ্যাপার্টমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করছি। এটি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবো।

ড্যাপের এ পিডি বলেন, আমরা এর বাইরে পূর্বাচলে ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট করবো। এগুলো কম ভাড়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষকে দেওয়া হবে। এসব অ্যাপার্টমেন্ট যারা কিনতে চান তাদের দীর্ঘমেয়াদি কিস্তি সুবিধা দেওয়া হবে। এসব উদ্যোগ ড্যাপের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। আর আমাদের এ উদ্যোগের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে উৎসাহ দিচ্ছি। এ প্রকল্প নিয়ে এগুলো সরকার স্বল্প সুদহারে ঋণের ব্যবস্থা করবে।

অন্যদিকে মধ্যবিত্তের আয় কমলেও দেশে বেড়েছে কোটিপতির সংখ্যা। এতে আরও বেশি বাড়ছে বৈষম্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ হিসাব মতে, ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টিতে। এক বছর আগে ২০২১ সালের জুনে কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৮ হাজার ৫৩৯টি। এতে একদিকে মানুষের আয় কমছে অন্যদিকে বাড়ছে কোটিপতি। এতে তীব্র হচ্ছে আয় বৈষম্য।

কোটি টাকার হিসাব বেড়ে যাওয়া নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার বেড়েছে। অনেকেই এসব টাকা বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংকে জমা রাখছে। এ কারণে সংকটের মধ্যেও হিসাব বেড়েছে। কোটিপতি বেড়ে যাওয়ার এ হিসাবটা হলো আয় ও সম্পদের বৈষম্য। এতে বড়রা বেশি বড় হচ্ছে আর নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের আয় কমে যাচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই ছোটরা বৈষম্যের শিকার আর বড়দের বেশি সুবিধা দেওয়া হয়। বৈষম্যের কারণে একটা শ্রেণির আয় বেড়েই চলেছে।

ইএআর/এএসএ/এমএস