ইসলামের নির্ভেজাল শর্তই হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করা। আল্লাহর উপর ভরসা মানুষের মনের বিরাট আন্তরিক ইবাদাতও বটে। বান্দা তার সামগ্রিক কাজে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ আস্থাশীল থাকা, কর্মের ভালো-মন্দ তার উপর সোপর্দ করা এবং যে বিষয়ে ভরসা বা আশা পোষণ করে, তার জন্য বৈধ পন্থা অবলম্বন করা শুধুমাত্র ‘ভরসা করলাম’ বলে বসে থাকলে চলবে না কাজটি সম্পাদন করতে হবে। সুতরাং আল্লাহর উপর ভসরাকারী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে কারণ ও মাধ্যম গ্রহণের পর ঐ বিষয়গুলো আল্লাহর দিকে বৈধ পন্থায় সোপর্দ করে এবং তার তাওফিক কামনা করে। তাদের ব্যাপারে কুরআনে অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন-ক. তোমরা যদি প্রকৃতই মুমিন হয়ে থাক, তাহলে একমাত্র আল্লাহর উপরেই ভরসা কর। (মায়িদা : আয়াত ২৩)খ. যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করে থাকেন তবে কেউ তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সহায়তা না করেন, তবে তিনি ছাড়া কে আছে যে তোমাদের সাহায্য করবেন? মুনিদের শুধুমাত্র আল্লাহর উপর নির্ভর করা উচিত। (ইমরান : আয়াত ১৬০)গ. নিশ্চয়ই তাদের উপর শয়তানের কোনো শক্তি নেই যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় প্রতিপালকের উপর ভরসা করে। (নহল : আয়াত ৯৯)ঘ. আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন। মূলত তত্ত্ববধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (আহযাব : আয়াত ৩)ভরসা শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই করার কথা কুরআনের সুরা আনফল : আয়াত ২, ত্বালাক : ৩, তাওবা : ৫১, ১২৯, মুযাদালাহ : ১০, যুমার : ৩৭, ইবরাহিম : ১১-১৩, ইউসুফ : ৬৭, ইউনুস : ৮৪, মায়িদা : ১১ আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে। এ ছাড়া আল্লাহর উপর আস্থা রাখার অনেক আয়াত রয়েছে।সুতরাং ভরসা রাখতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি তাঁর উপর পরিপূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস রেখে পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement