কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় দেশের হাওর ও চরাঞ্চলীয় এলাকায় নজর দিচ্ছে সরকার। মূলত খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ব্যয় করা হবে ১৫৪ কোটি টাকা।
Advertisement
জানুয়ারি ২০২২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য: পুষ্টিমান ও খাদ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় সুনির্দিষ্ট ফসলের উৎপাদনশীলতা ৮ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে। নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল গ্রাম সৃজনের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে অবদান রাখা। বারটানের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাতটি মিনি নিউটিশন ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ কৃষি, পুষ্টি ও আয়বর্ধক কার্যক্রম সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি ও দক্ষতা বৃদ্ধি।
প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পটভূমি: প্রস্তাবিত প্রকল্পে দেশের হাওর, চর, আদিবাসী অধ্যুষিত এবং পুষ্টি ঘাটতি সম্পন্ন করা হবে। ৪৯টি জেলার ১৫৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প এলাকার গড় শস্যের নিবিড়তা বাড়ানো হবে।
Advertisement
প্রকল্প এলাকায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে বায়ো-ফর্টিফাইড ফসল আবাদ সম্প্রসারণ, উচ্চমূল্যের ফসল আবাদ সম্প্রসারণ; উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ভাবিত জাত/প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, নিরাপদ ফসল উৎপাদন বাড়বে।
উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর জন্য আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, পুষ্টি সম্পর্কে সচেতনতা, এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে পুষ্টি বাগান সৃজনের মাধ্যমে জনগণের আয় বৃদ্ধি এবং প্রামাণ ছি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম: বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৩ হাজার ৭১৮টি পুষ্টিসমৃদ্ধ প্রদর্শনী, পানি সাশ্রয়ী ফসলের প্রদর্শনী, ১৫৫টি সবজি, ফল ও মসলা জাতীয় ফসলের মডেল বাগান ও মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনী স্থাপন করা হবে। হ্যান্ড স্প্রেয়ার, দুই হাজার ৯৩৪টি ফুট পাম্প, এক হাজার ৩৭৭টি পানির উৎস স্থাপন করা হবে। দুই হাজার ৭৫৪ সেট ফিতা পাইপ ইত্যাদি ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি কেনা হবে। ১৫৫ ব্যাচ কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ (স্থানীয়) এবং ৪৯টি কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলার আয়োজন করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের হাওর, চর, আদিবাসী/উপজাতি অধ্যুষিত এবং পুষ্টি ঘাটতি সম্পন্ন এলাকাসমূহের শস্যের নিবিড়তা ও উৎপাদন বাড়ানো হবে। নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ও কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রকল্পটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এজন্য এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
এমওএস/এমকেআর/এমএস