এককভাবে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে উপসাগরীয় ছোট্ট দেশ কাতার। অনেকের অভিযোগ, বিশেষ করে পশ্চিমাদের, দেশটি নাকি অর্থের জোরে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে। এটি সত্য নাকি মিথ্যা, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, তবে কাতারের অর্থবিত্তের খ্যাতি কিন্তু নতুন নয়। মাথাপিছু জিডিপির হিসাবে বিশ্বের চতুর্থ ধনী দেশ এটি। অর্থাৎ, কাতারে ধনী মানুষের অভাব নেই। তাই মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, সেখানে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে? তিনি কীভাবে এত অর্থবিত্তের মালিক হলেন?
Advertisement
উত্তর- কাতারের শীর্ষ ধনীর নাম শেখ ফয়সাল বিন কাসিম আল থানি। দেশটির অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী আল ফয়সাল হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান তিনি।
ফোর্বসের হিসাবে, ৭৪ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ীর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার। অবশ্য ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ২৪০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ব্যাপক ক্ষতির ফলে ২০২০ সালে আল থানির সম্পদ অর্ধেকে নেমে আসে। তবে তারপর থেকে আবারও ঊর্ধ্বমুখী এর গ্রাফ। বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় ১ হাজার ৫৩৯তম তিনি।
ফয়সাল আল থানির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। তবে কাতারের রাজপরিবারের দূরসম্পর্কের আত্মীয় তিনি। এরপরও প্রাথমিক জীবনে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরোতে হয়েছে তাকে।
Advertisement
১৬ বছর বয়সে দোহায় গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করতে শুরু করেন ফয়সাল। ১০৬০’র দশকে বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিজস্টোন টায়ারের একমাত্র পরিবেশক হন তিনি।
ফয়সাল আল থানির সংগ্রহে রয়েছে অন্তত ৪০টি অ্যান্টিক গাড়ি। ছবি সংগৃহীত
১৯৬৪ সালে আল ফয়সাল হোল্ডিং প্রতিষ্ঠা করেন ফয়সাল আল থানি। বিশ্বজুড়ে ২০টির বেশি হোটেল রয়েছে সংস্থাটির। এগুলোর মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির ও মিয়ামির সেন্ট রেজিস এবং লন্ডনের ডব্লিউ হোটেল অন্যতম।
বহুমুখী কোম্পানি আমালের অধিকাংশ শেয়ারের মালিকও ফয়সাল আল থানি। আবাসন ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ব্যবসা রয়েছে এটির।
Advertisement
কাতারের রাজধানী দোহায় একটি জাদুঘর রয়েছে এই ধনকুবেরের। সেখানে অ্যান্টিক গাড়ি, প্রাচীন মুদ্রা, ইসলামী শিল্পসহ ১৫ হাজারের বেশি শিল্প নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায়।
কেএএ/