প্রত্যেকেরই রক্তের গ্রুপ আছে। ব্যক্তিভেদে রক্তের ধরন মূলত ৮টি- ও পজেটিভ, ও নেগেটিভ, এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ ও এবি নেগেটিভ।
Advertisement
জানলে অবাক হবেন, রক্তের গ্রুপের উপর ভিত্তি করে ডায়েট স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে এর সত্যতা কতটুকু?
প্রাকৃতিক চিকিত্সক ড. পিটার ডি‘আডামোর ‘ইট রাইট ফর ইওর টাইপ’ নামক বইটি ১৯৯৬ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইতে তিনি পাঠকদের রক্তের প্রকারের ডায়েটের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
এ ধরনের ডায়েটের পেছনে ধারণা হলো, প্রত্যেকটি খাবার যা খাওয়া হয়, তা রক্তের গ্রুপের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে বিক্রিয়া করে।
Advertisement
তাই আপনি যদি আপনার রক্তের গ্রুপের জন্য যেসব খাবার প্রযোজ্য সেগুলো খান, তাহলে সেগুলো আরও কার্যকরভাবে হজম হবে ও শরীরে মিলবে সবটুকু পুষ্টিগুণ।
রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কোন কোন খাবার খাবেন?
টাইপ এ
টাইপ এ ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মাংসজাত দ্রব্য খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। তবে ফল, শাকসবজি, মটরশুটি, শিম ও গোটা শস্য তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কারণ এ টাইপ রক্তের ‘সংবেদনশীল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ থাকে।
Advertisement
টাইপ বি
সবুজ শাকসবজি, ডিম ও নির্দিষ্ট মাংস খেতে পারে। তবে কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান। ভুট্টা, গম, বাকউইট, মসুর, টমেটো, চিনাবাদাম ও তিল এড়িয়ে চলুন। নির্দিষ্ট মাংসের অনুমতি থাকলেও মুরগির মাংস এড়ানো উচিত এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের।
এবি টাইপ
এই ব্লাড গ্রুপের মানুষদের সামুদ্রিক খাবার, তোফু, দুগ্ধজাত খাবার, মটরশুটি, সবুজ শাক ও শস্য খাওয়া উচিত। তবে ভুট্টা, গরুর মাংস ও মুরগির মাংস এড়ানো উচিত।
যাদের এবি টাইপের রক্ত আছে তাদের পাকস্থলীর অ্যাসিড কম থাকে। ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ও ধূমপান করা বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া তাদের একেবারেই উচিত নয়।
টাইপ ও
এই রক্তের গ্রুপের মানুষেরা উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন। যার মধ্যে চর্বিহীন মাংস, হাঁস-মুরগি, মাছ ও শাকসবজি আছে। তারা শস্য, মটরশুটি ও দুগ্ধজাত খাবারও সহজে খেতে পারবেন।
এই ধরনের ডায়েট কি আসলে কাজ করে?
ডি’আডামোর বইতে উল্লেখিত খাদ্য পরিকল্পনা স্বাস্থ্যকর খাওয়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। যা ওজন কমাতে ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে।
তবে আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিকাল নিউট্রিশনের ২০১৩ সালের এক গবেষণায় জানা নো হয়, রক্তের ধরনের ডায়েটের কথিত স্বাস্থ্য সুবিধাগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম