আন্তর্জাতিক

জুডো খেলোয়াড় থেকে এশিয়ার শীর্ষ নারী ব্যবসায়ী

২০২২ সালের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী নারীদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে মোট ২০ জন নারীকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এতে জায়গা পেয়েছেন জাপানের ৫২ বছর বয়সী আকিকো আমানো।

Advertisement

আকিকো আমানো জাপানের আতশবাজি কোম্পানি ‘সৌকে হানাবি কাগিয়ার’ পরিচালক। এটি তাদের পারিবারিক ব্যবসা। বংশ পরম্পরায় তারা এই ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত। আকিকো আমানো পরিবার থেকে প্রথম নারী হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেন। প্রায় ৩৬০ বছর ধরে তার পরিবারের সদস্যরা আতশবাজি ব্যবসার সঙ্গে রয়েছেন। তাছাড়া জাপানে আতশবাজি তৈরির কোম্পানিগুলোর মধ্যেও তিনি প্রথম নারী পরিচালক।

জাপানের ঐতিহ্যবাহী কোম্পানিগুলোর মধ্যে সউকে হানাবি কাগিয়া সবচেয়ে বড়। এই কোম্পানিটির সূচনা হয়েছিল ১৬৫৯ সালে। এটি টোকিওর সুমিদা নদীর পারে বার্ষিক আতশবাজির আয়োজনের সঙ্গে রয়েছে। ১৭৩৩ সাল থেকে সেখানে আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, যা জাপানের ঐতিহ্যর সঙ্গে যুক্ত।

আমানো তার পরিবারের ১৫তম প্রজন্ম। যিনি ২০০০ সালে টোকিওভিত্তিক কোম্পানিটিতে তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হয়ে পরিচালক হন। ২৯ বছর বয়সে তিনি এই পদে আসেন।

Advertisement

নিজেকে সমৃদ্ধ করতে আমানো ২০০৯ সালে নিহোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে মানুষের আবেগের ওপর আতশবাজির প্রভাব নিয়ে পড়াশোনা করেন।

আমানো জাপানের জুডো দলেরও সাবেক সদস্য এবং জাপানের প্রথম নারী হিসেবে ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে জুডো খেলায় আম্পায়ারে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকে তিনি দায়িত্বপালন করেন। ২০১৯ সালে তিনি সপ্তম ড্যান ব্ল্যাক বেল্টের পদমর্যাদা অর্জন করেন, যা জুডো দক্ষতার সর্বোচ্চ স্তরগুলোর মধ্যে একটি। পরিবারটি একটি জুডো স্কুলও পরিচালনা করে। যেখানে তিনি ও তার বাবা পরিচালক।

৫২ বছর বয়সী আমানোর মেয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি আশা করছেন ১৬তম প্রজন্ম হিসেবে তার মতো ব্যবসার হাল ধরবেন মেয়ে। যদিও এ ব্যাপারে তার মেয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

কোম্পানির পরিচালক বলেন, আতশবাজি কেবল বিনোদনের অংশ নয়। এটি হচ্ছে শান্তির প্রতীক। ২০ থেকে ৩০ বছর পরে মানুষ এটিকে ভুলে যাক তা তিনি চান না।

Advertisement

এমএসএম