জাতীয়

বৃষ্টির পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চ্যাম্পিয়ন ৩ খুদে উদ্ভাবক

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা থেকে করা হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। সেই বিদ্যুৎ দেশের কাজে লাগবে। এমন প্রকল্প তৈরি করেছেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী। তারা হলো- শাহ আহনাব আবিদ আলভী, মো. ফারজীদ রহমান ও ইনান কবীর। এ প্রকল্প বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) অনুষ্ঠিত ‘প্রথম জাতীয় পরিবেশ উৎসব ২০২২’-এ প্রদর্শিত হয়, যা দিয়ে বাজিমাত করেছেন খুদে তিন উদ্ভাবক। উৎসবের জুনিয়র ক্যাটাগরিতে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

Advertisement

গত আগস্টে ‘প্রথম জাতীয় পরিবেশ উৎসব ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়। তবে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে এ উৎসবের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে অতিথিরা খুদে এ উদ্ভাবকদের হাতে চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার তুলে দেন।

আরএফএল গ্রুপের টেল প্লাস্টিকের অর্থায়নে ও ইনভাইরনমেন্ট ওয়াচের সহযোগিতায় ‘ইয়ুথপ্রেনার নেটওয়ার্ক’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য শাহ আহনাব আবিদ আলভী বলে, ‘আমরা রেইন ওয়াটার হারভেস্টিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প করেছি। সেটি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। প্রকল্পে দেখিয়েছি, কীভাবে বৃষ্টির পানি মজুত করে টার্বাইন ব্যবহার করে তা কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। সেই পানি আমরা আবার রিসাইক্লিং করে ব্যবহার করতেও পারি। টার্বাইন ঘুরে যখন ওয়াটারফ্লু হয়ে যাবে, সেটা পুকুরে ব্যবহার করতে পারবো। একটা টার্বাইন জেনারেটর দিয়ে সারাদিন চলতে পারে না। তবে এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা সেটা করে দেখাতো পারবো।’

Advertisement

দলের আরেক সদস্য মো. ফারজীদ রহমান বলে, ‘স্কুলে যখন এমন একটি প্রতিযোগিতার কথা জানানো হয়, তখন এতে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমরা সবসময় আগ্রহী থাকি সায়েন্স প্রজেক্টে অংশ নিতে। তিনজন চিন্তা-ভাবনা করি এবং এ ধরনের একটা প্রজেক্ট নির্ধারণ করি। এতে দেশের অনেক উপকারও হবে।’

এ দলের অন্য সদস্য ইনান কবীর। সে বলে, ‘প্রথমবারের মতো জাতীয় পরিবেশ উৎসব আয়োজনে অংশ নিয়েছি। মূলত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই আমরা এখানে আসি, চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে এমন জেদ করে নয়। প্রজেক্টের পুরস্কার হিসেবে যে অর্থ পেয়েছি, তা দিয়ে আরও ভালো কোনো প্রজেক্ট দাঁড় করানোর চেষ্টা করবো।’

গত আগস্টে ‘প্রথম জাতীয় পরিবেশ উৎসব ২০২২’-এর আয়োজন করা হয়। এতে ১৬ ইভেন্টে দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ২৮১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাজহারুল ইসলাম খান, ঢাকা জেলার উপ-পরিচালক বিরাজ চন্দ্র সরকার, আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান, আরএফএল গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) বশির উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মতিঝিল ইউনিটের থানা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম।

Advertisement

দ্বিতীয় পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (এডিসি) শাহনাজ সুলতানা, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমা, জাগো নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কে এম জিয়াউল হক প্রমুখ।

আরএসএম/এএএইচ/জেআইএম