পার্বত্য খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে নির্মাণ করা হয়েছে অ্যাম্ফিথিয়েটার। এটিই পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রে দেশের প্রথম অ্যাম্ফিথিয়েটার। দেশের প্রথম এ অ্যাম্ফিথিয়েটারে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের জন্য থাকবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির মুগ্ধতা ছড়াবে ‘অ্যাম্ফিথিয়েটার’।
Advertisement
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) চাকমা সম্প্রদায়ের গীতিনাট্য ‘রাধামন ধনপুদি’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। খাগড়াছড়ি ও সাজেতে আসা পর্যটকদের ভ্রমণে নতুন মাত্রা যোগ করবে এ অ্যাম্ফিথিয়েটার।
অ্যাম্ফিথিয়েটার খাগড়াছড়ির পর্যটন শিল্পে ভিন্ন আমেজ যোগ করেছে বলে মনে করন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এর মাধ্যমে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে পাহাড়ে আসা পর্যটকরা। বাংলাদেশের ভিন্ন ধারার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে তারা।
এক হাজার আসনবিশিষ্ট গ্রিক স্থাপত্যের আদলে দেশের প্রথম অ্যাম্ফিথিয়েটারের নিচতলায় ২৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ। যেটি মূলত শিল্পীদের গ্রিনরুম হিসেবে ব্যবহার হবে।
Advertisement
খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা পর্যটক নিশাত তাবাচ্ছুম বলেন, পরিবার নিয়ে আমরা পাহাড়ে বেড়াতে এসেছি। পাহাড়ের বর্ণিল সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ পরিবেশনা আমাদের বাড়তি আমেজ দিয়েছে। এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি ভ্রমণে উৎসাহিত হবে। এমন কালারফুল পরিবেশনা উপভোগ করতে বারবার ছুটে আসবে ভ্রমণপিপাসুরা।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘রাধমন ধনপুদি’ চাকমা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের শিল্প নান্দনিকতার বহুমাত্রিক গীতিনাট্য। পাহাড়ের বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভালো লাগবে। শুধু ‘রাধামন ধনপুদি’ নয়, অ্যাম্ফিথিয়েটারে পর্যায়ক্রমে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মারমা সম্প্রদায়ের রূপকথা নিয়েও গীতিনাট্য এখানে মঞ্চায়ন করা হবে। পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিকে দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই অ্যাম্ফিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রহস্যময় সুরঙ্গখ্যাত আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র নতুন ভাবে পরিচিত হবে। বিশ্ব ঐতিহ্যের অনুরূপ ছোঁয়া পেতে আলুটিলায় পর্যটন পার্কে পাহাড়ের ভাঁজে কোনোরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট না করে গ্রিক স্থাপত্যের আদলে অ্যাম্ফিথিয়েটার নির্মাণ করা হয়েছে।
মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া/জেএস/জেআইএম
Advertisement