বিশ্বকাপে খেলা হবে এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের। এখানে ক্লাবের কোনো মূল্য নেই। কারণ, ক্লাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেললেও বিশ্বকাপের বিশ্ব লড়াইয়ে ফুটবলাররা হয়ে যান একে অপরের শত্রু। এমনকি মাঠের খেলায় অনেক সময় সেই শত্রুতার কদর্য রূপও দেখা যায়।
Advertisement
ক্লাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেন মেসি এবং নেইমার। অথচ, নেইমারই কয়েকদিন আগে টেলিগ্রাফকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেসিকে বলে এসেছেন তাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতবেন তিনি।
কিন্তু ভিন্ন একটি দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিই ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। এবারের বিশ্বকাপে এই ক্লাবটির মোট ১৭জন ফুটবলার বিভিন্ন দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।
ইনজুরি আক্রান্ত হোসে গায়ার পরিবর্তে আলেজান্দ্রো বালদে স্পেন দলে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পরপরই মূলতঃ এই ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে বার্সার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনো একটি ক্লাব থেকে এত ফুটবলার একসঙ্গে বিশ্বকাপে সুযোগ পায়নি। বার্সেলোনা দলটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা খেলে থাকেন। নিজ নিজ দেশ থেকে তারা ডাক পেয়েছেন বিশ্বকাপের দলে।
Advertisement
মোট আটটি দেশের ফুটবলার রয়েছেন এই ১৭ জনের মধ্যে। এই আট দেশের প্রতিটিই বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮জন রয়েছেন স্পেন বিশ্বকাপ দলে।
বার্সার যে ১৭ ফুটবলার বিশ্বকাপে খেলছেন, তারা হলেন-
টের অ্যান্ডার স্টেগান (জার্মানি), আরাউজো (উরুগুয়ে), ক্রিস্টেনসেন (ডেনমার্ক), কোউনদে (ফ্রান্স), আলবা (স্পেন), এরিক গার্সিয়া (স্পেন), বালদে (স্পেন), বুস্কেটস (স্পেন), পেদ্রি (স্পেন), গাবি (স্পেন), ডি ইয়ং (নেদারল্যান্ডস), ফেরান তোরেস (স্পেন), আনসু ফাতি (স্পেন), মেমপিস ডিপে (নেদারল্যান্ডস), লেওয়ানডস্কি (পোল্যান্ড), ডেম্বেলে (ফ্রান্স), রাফিনহা (ব্রাজিল)।
এই ১৭ জনের মধ্যে রয়েছেন, ১ জন গোলরক্ষক, ৬ জন ডিফেন্ডার, ৪জন মিডফিল্ডার এবং ৬জন অ্যাটাকিং ফুটবলার- যারা কাতারে গিয়ে বার্সেলোনার আর্মাডা তৈরি করবে। তবে, প্রায় পুরো দলটাই বিশ্বকাপ খেলার জন্য কাতারে চলে যাওয়ায় বার্সা কোচ জাভির জন্য, বিশ্বকাপের পর অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করাটাও কঠিন হয়ে পড়বে, নিশ্চিত।
Advertisement
বার্সেলোনার চেয়ে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বায়ার্ন মিউনিখ এবং ম্যানচেস্টার সিটি। এই দুই ক্লাবের মোট ১৬জন করে ফুটবলার খেলছেন এবারের বিশ্বকাপে।
আইএইচএস/