আন্তর্জাতিক

ডেঙ্গুর আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব হয় পশ্চিমবঙ্গে। বর্ষাকালের জমা পানিতে মশার বংশবৃদ্ধি বাড়ে। শুধু কলকাতা নয়, পাশের জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন শহরেও ডেঙ্গুর সংক্রমণ পৌঁছে গেছে। সেখানে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু। প্রায় প্রতি বাড়িতেই একজন করে রোগী পাওয়া যাবে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের আশঙ্কা।

Advertisement

এদিকে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না সরকারি হাসপাতালগুলো। আউটডোর বাদে বাকি রোগের চিকিৎসা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু ডেঙ্গুর চিকিৎসায় চলছে। বিভিন্ন জেনারেল হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে এক একটি বিছানায় দুজন, কোথাও তিনজন রোগীকে রাখতে হয়েছে। কলকাতার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একই রকম অবস্থা।

তবে আক্রান্তদের থেকে ডেঙ্গু যাতে বাইরে না ছড়ায়, সে জন্য হাসপাতালের বেডে মশারি খাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতার সব থেকে বড় পৌর স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিদিন সকাল থেকেই খোলা থাকছে।কলকাতার সব থেকে বড় জলাশয় রবীন্দ্র সরোবর লেক, যা সব ধরনের মশার আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে। এর লাগোয়া অত্যন্ত ৫-৬টি ওয়ার্ডের এক বিশাল এলাকাজুড়ে অনেকগুলো খোলা বস্তি রয়েছে।

Advertisement

এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল প্রতিদিন সেখানে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতি নজরে রাখছে, মশা মারার ওষুধ ছড়াচ্ছে। পানি দীর্ঘদিন জমিয়ে না রাখার ও নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার এর জন্য লাগাতার প্রচার চলছে পাড়ায় পাড়ায়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সতর্ক করেছেন ডেঙ্গু নিয়ে। কারণ হাবরা, অশোকনগর ও পানিহাটিতে যে দ্রুতগতিতে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে তা অন্যান্য শহর ও শেষ পর্যন্ত কলকাতাতেও ছড়াতে বেশি সময় লাগবে না।

এমএসএম

Advertisement