মহামারি করোনাভাইরাসের সংকট কাটিয়ে অষ্টমবারের মতো শুরু হলো তিন দিনব্যাপী বাপা ফুডপ্রো এক্সপো। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এ এক্সপোর উদ্বোধন করেন।
Advertisement
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হওয়া এ এক্সপো চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য এ এক্সপো উন্মুক্ত থাকবে।
প্রদর্শনী ছাড়াও এতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়ে একটি কারিগরি সেশন হয়। এ খাতে যুক্ত দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিজনেস ম্যাচিং সেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রকমারি খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করে।
এছাড়া ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, চীন ও জাপানসহ নানান দেশের নামিদামি কোম্পানি তাদের ফুড প্রসেসিং মেশিন প্রদর্শন করছেন। এসব মেশিনারিজ দেখে মুগ্ধ দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তারা।
Advertisement
উদ্বোধনের পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোর সভাপতি এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।
গবেষণায় নজর দেওয়ার পাশাপাশি দেশীয় পণ্যকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য নানা ধরনের পরামর্শ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং রেইনবো এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এ মেলার আয়োজন করছে।
মেলায় ১৭টি দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ২০০ স্টলের মধ্যে বিদেশি অংশগ্রহণকারী স্টল প্রায় ৯০ শতাংশ। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলসহ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রায় সব কোম্পানির স্টল রয়েছে বাপা ফুডপ্রো এক্সপোতে।
Advertisement
এ আয়োজন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প আরও গতিশীল হবে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের প্রান্তিক কৃষির উপকার হবে, উপকৃত হবেন কৃষকরাও। বাড়বে রপ্তানি। একইসঙ্গে ভোক্তারা সাশ্রয়মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন।
মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি, যারা সরাসরি ফুড প্রসেসিং সেক্টরে যুক্ত তারা অংশ নিয়েছেন। এর আগে সাতবার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব মেলার সাফল্য, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ও দর্শনার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়ায় এবারের মেলার সাফল্য নিয়ে আশাবাদী আয়োজকরা। যদিও মাঝে করোনার কারণে কয়েক বছর মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
বাপার জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং সেক্টরের উন্নয়নের স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাপার মূল লক্ষ্যই হলো এ সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া।
বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত ছাড়া যেকোনো খাতে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ। কাজেই বাংলাদেশ যাতে কোনোভাবেই এ খাতে পিছিয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট বাপা।
১৩ সদস্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে যাত্রা শুরু করে বাপা। বর্তমানে বাপার সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। যারা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের ১৪৪ দেশে রপ্তানি করছে।
এমওএস/এএএইচ/জেআইএম