আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ার নির্বাচন: জরিপে এগিয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম

মালয়েশিয়ায় হতে যাচ্ছে ১৫তম সাধারণ নির্বাচন। শনিবার (১৯ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ হবে। এবার মোট দুই কোটি ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৮ জন নিবন্ধিত ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Advertisement

এই লড়াইয়ে মূলত দুজনের নামই ঘুরেফিরে আসছে। তারা হলেন দেশটির আগের প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন। আর সাবেক অর্থমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। এরমধ্যে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন আনোয়ার।

ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ইউগভ’র একটি সমীক্ষা বলছে, আনোয়ারের ‘পাকাতান হারাপান’ জোট ৩৫ শতাংশ আসনের বৃহত্তম ভাগ নিশ্চিত করার পূর্বাভাস দিয়েছে। আর মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের নেতৃত্বাধীন ‘পেরিকটান জোটে’র ২০ শতাংশ, বারিসানের ১৭ শতাংশ ভোট রয়েছে।

তবে নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, আনোয়ারের জোট হেরে যেতে পারে যদি অন্য ব্লকগুলো তার বিরুদ্ধে দল গঠন করে।

Advertisement

এদিকে মালয়েশিয়ার নির্বাচন কমিশন ১০ ধাপে ভোট দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। ইসি বলছে, নির্দেশিকা অনুসারে একবার ভোটারকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলে তাকে অবশ্যই পরিচয়পত্র (মাইক্যাড) হস্তান্তর করতে হবে এবং উভয় হাত দেখাতে হবে।

বৃহস্পতিবার এক ভাষণে আনোয়ার বলেন, এই নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য নয়। এই নির্বাচন দেশকে বাঁচানোর জন্য। এটা পরিবর্তন আনার সেরা সুযোগ।

আনোয়ারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে- চাকরির ব্যবস্থা, বিনিয়োগ এনে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি, জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন দূর করা।

নটিংহাম মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিজেট ওয়েলশ বলেছেন, আনোয়ারের জোট মিত্রদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারে। কারণ বিভাজন এবং ভেতরগত দ্বন্দ্ব অন্য দুটি প্রধান জোটকে অস্থির করে তুলেছে।

Advertisement

ওয়েলশ এক সাক্ষাতকারে রয়টার্সকে বলেছেন, আনোয়ারের জন্য আমরা যা দেখেছি তা হলো, তার জোট একত্রিত হয়েছে। তারা আদর্শগতভাবে আরও সমন্বিত।

কিন্তু তিনি বলেন, ওয়েলশ এবং স্বাধীন পোলস্টার মেরডেকা সেন্টারের একটি জরিপ অনুসারে, ১৫-৩০ শতাংশ ভোটাররা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন।

এর আগে আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার কারাদণ্ডও হয়েছিল। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৮ সালে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

আনোয়ার বলেছেন, তার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

জেডএইচ/জিকেএস