মধ্য দোহা থেকে প্রায় ২২ কিলো মিটার দক্ষিনে আল-ওয়াকরাহ শহরে অবস্থিত আল জানুব স্টেডিয়ামটি। কাতারের ঐতিহ্যবাহী বিশেষ নৌকার আদলে এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে।
Advertisement
পারস্য উপসাগরে ডো-নৌকায় চড়ে মুক্তো খুঁজত কাতারিরা। ঢেউ খেলানো জলরাশির মধ্যে নৌকা যেমন দোলে, তেমনি আল জানুবের মধ্যেও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই আদল। মুক্তো খোঁজার মত করেই এ মাঠে খোঁজা হবে সেরা ফুটবলারদের।
ডো-নৌকাটি কাতারসহ উপসাগরীয় বাসিন্দারা মুক্তা খোঁজা ও মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করত। বিশাল সমুদ্রে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুঁজে আনা সেই সমৃদ্ধশালী ইতিহাসকে, সমুদ্রের দুঃসাহসী অভিযানকে আবারও সামনে আনতে তৈরি হয়েছে আল জানুব স্টেডিয়ামের উপরিভাগ।
এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে বসে দর্শকরা জাহাজ ভ্রমণের অনুভূতি পাবেন। এছাড়া মাঠ ও মাঠের বাইরে রাখা হয়েছে সবধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
Advertisement
আল ওয়াকরাহের স্টেডিয়ামটি একেবারেই নতুন নয়। এখানে আগেও খেলা হয়েছিল। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ভেন্যুটিতে বড় ধরনের সংস্কার করা হয়েছে। এমনকি সংস্কারের সময় মাঠটির ‘আল ওয়াকরাহ্’ নামও পাল্টে ফেলা হয়।
৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের ম্যাচসহ সর্বমোট ৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আল-ওয়াকরাহ শহরে নির্মিত স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ সালের কাতারের আমির কাপের ফাইনালের সময়। স্টেডিয়ামটি ডিজাইন করেছেন প্রখ্যাত নারী স্থপতি জাহা হাদিদ। ফুটবলের বাইরেও স্টেডিয়ামটিতে অন্য খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। এবং অবকাশ যাপনের সুবিধা সমন্বিত পার্কল্যান্ড দ্বারা বেষ্টিত।
আল জানুব স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে যে সব খেলা
Advertisement
গ্রুপ পর্ব
১. ২২ নভেম্বর, গ্রুপ 'ডি', ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া, রাত ১ টা২. ২৪ নভেম্বর, গ্রুপ 'জি', সুইজারল্যান্ড-ক্যামেরন, বিকেল ৪ টা৩. ২৬ নভেম্বর, গ্রুপ 'ডি', তিউনিসিয়া-অস্ট্রেলিয়া, বিকেল ৪ টা৪. ২৮ নভেম্বর, গ্রুপ 'জি', ক্যামেরুন-সার্বিয়া, বিকেল ৪ টা৫. ৩০ নভেম্বর, গ্রুপ 'ডি', অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্ক, রাত ৯ টা৬. ২ ডিসেম্বর, গ্রুপ 'এইচ', ঘানা-উরুগুয়ে, রাত ৯ টা
দ্বিতীয় রাউন্ড
৭. ৫ ডিসেম্বর, ই-১;এফ-২, রাত ৯টা
আইএইচএস/