খেলাধুলা

ইংল্যান্ডের প্রত্যাশার বাতি হ্যারি কেইন

প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফেবারিটের তকমা লাগিয়ে অংশ নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু ১৯৬৬ সালের পর আর শিরোপা স্পর্শ নেয়া হয়নি ইংলিশদের। আরো একটি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। ফুটবলের জন্মদাতারা আবার আশায় বুক বাঁধছে। এবার কি ভাগ্যের শিকে ছিঁড়বে তাদের?

Advertisement

কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের গ্রুপের অন্য তিন দেশ ওয়েলশ, ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২১ নভেম্বর ইরানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ইংল্যান্ডের শিরোপা উদ্ধারের মিশন। আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যেমন তাকিয়ে থাকেন মেসির দিকে, তেমন ব্রাজিলের সমর্থকদের চোখ নেইমারের ওপর। আর ইংল্যান্ডের বাজির ঘোড়া হতে পারেন, দলটির অধিনায়ক হ্যারি কেইন।

গত রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে হেরেছিল ক্রোয়েশিয়ার কাছে। ১-১ গোলে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ে ইংলিশদের হারিয়েছিল বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া দলটি। আর ব্যক্তিগতভাবে ইংলিশ ফরোয়ার্ড জিতেছিলেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট। ৬ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন তিনি।

ইংল্যান্ড কাতার বিশ্বকাপে কোথায় গিয়ে থামবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। ব্যক্তিগতভাবে হ্যারি কেইনের সামনে আছে দারুণ এক রেকর্ডের হাতছানি। কাতার বিশ্বকাপে ৫ গোল করতে পারলে তিনি ছাড়িয়ে যাবেন আরেক ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকারকে। ১০ গোল নিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে বেশি গোল করা ফুটবলার এখনও লিনেকার।

Advertisement

২৯ বছর বয়সী হ্যারি কেইন ২০১৫ সাল থেকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলে আসছেন। এ পর্যন্ত ৭৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৫১টি। কাতার বিশ্বকাপে ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের অনেকখানি ভরসা করে থাকবেন হ্যারির ওপর।

অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড যে কোনো সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন। গত বিশ্বকাপে তার গোলেই শেষ ষোলোর চৌকাঠ পার হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ইংলিশরা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যামের ঘরের ছেলেই হয়ে গেছেন যেন তিনি। ২০০৯ সালে এই ক্লাবে নাম লেখান কেইন। এখনও খেলে যাচ্ছেন ক্লাবটিতে। মাঝে ক্লাব ছাড়েননি, তবে লোনে খেলেছেন লেইটন ওরিয়েন্ট, মিলওয়াল, নরউইচ সিটি এবং লেস্টার সিটিতে। তাও সেই ২০১৩ সালে। এরপর আর কোথাও যেতে হয়নি। গত ৯ বছর টানা খেলে যাচ্ছেন টটেনহ্যামের জার্সিতে।

ইংল্যান্ডের চারটি বয়সভিত্তিক দলে খেলে খেলে ধাতস্ত হয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৫১টি গোল করে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড অন্যতম ফেবারিট দল, যার কারণ হ্যারি কেইনের মতো একজন খেলোয়াড় আছেন তাদের দলে।

Advertisement

আরআই/আইএইচএস/