সকাল-সন্ধ্যায় যে তাসবিহ পড়লে সারাদিন বা সারারাত নিরাপদ ও ভালোভাবে কাটে। যে আমল করতেন স্বয়ং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কী সেই তাসবিহ ও দোয়া?
Advertisement
১. তাসবিহ
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যিনি সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার পড়বে-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
Advertisement
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’
অর্থ : ‘আমি মহান আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।’
কেয়ামতের দিন কেউ তার থেকে উৎকৃষ্ট কিছু নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সেই ব্যক্তি ছাড়া, যিনি তার মতো বলবে কিংবা তার থেকে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম ২৬৯২)
২. দোয়া
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভোরে উপনীত হলে বলতেন-
أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণ : ‘আসবাহনা ওয়া আসবাহাল হামদু কুল্লুহু লিল্লাহ; লা শারিকা লাহু; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : ‘আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি এবং আল্লাহর রাজত্ব (সৃষ্টিকুল) ভোরে উপনীত হয়েছে। সব প্রশংসা আল্লাহর, তার কোনো শরিক নেই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং পুনরুত্থান তার কাছেই।
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন-
أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ ، وَالْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ ، لا شَرِيكَ لَهُ ، لا إِلَهَ إِلا اللَّهُ ، وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ
উচ্চারণ : আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহ; ওয়ালহামদু কুল্লুহু লিল্লাহ; লা শারিকা লাহু; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়া ইলাইহিল মাছির।’
অর্থ : ‘আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি। আল্লাহর রাজত্ব সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছে। সব প্রশংসা আল্লাহর এবং তার কোনো শরিক নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে হিব্বান, নাসাঈ)
৩. অনিষ্ট থেকে বাঁচতে সকাল–সন্ধ্যার দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবেন-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণ : ’বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা ফিস-সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো বস্তুই ক্ষতি করতে পারে না, তিনি সর্বশ্রোতা ও মহাজ্ঞানী।’
সকাল হওয়া পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
৪. দোয়া
হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলেন, তোমাকে আমি যা ওসিয়ত করছি; তোমাকে তা শুনতে বাধা দেয় কিসে? তুমি যখন উপনীত হবে সকালে কিংবা সন্ধ্যায়, তখন বলবে-
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছু, আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, ওয়া লা তাকিলনি ইলা নাফসি ত্বারফাতা আইনিন।’
অর্থ : হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি তোমার রহমতের ওসিলায় তোমার কাছে মুক্তির প্রার্থনা করছি। আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দাও। আর আমাকে আমার কাছে মুহূর্তের জন্যও তুমি ছেড়ে দেবে না।’ (নাসাঈ)
এমএমএস/এএসএম