দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর এসএ গেমসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন দুই কন্যা মাবিয়া আক্তার সীমান্ত এবং মাহফুজা আক্তার শীলা। নানান প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এই দুই ক্রীড়াবীদের জীবনের গল্প খুবই করুণ। শিলার সোনার পদক বিক্রি করে সংসার চালাতে হয়েছিল তার পরিবারকে। আর মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বসবাস করেন খুবই নিম্নমানের একটি বসবাড়িতে।মাবিয়া এবং মাহফুজাকে নিয়ে উঠে আসা করুণ এই গল্পগুলো দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। অবশেষে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা এই দুই স্বর্ণ কন্যার পাশে এসে দাঁড়ালেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাদের পরিবার যাতে ভালো জায়গায় থাকতে পারে, তাদের জীবন-যাপন যাতে আরও উন্নত হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে শীলার বিক্রি করা সোনার পদক ফেরত পাওয়ার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সোমবার মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ তথ্য জানান। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ তথ্য। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ভারতের গুয়াহাটি এবং শিলংয়ে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসের ভারোত্তোলনে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণ পদক জয় করেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে মোট ১৪৯ কেজি তুলে স্বর্ণ জেতেন মাবিয়া। গিলগাঁয়ের সিপাহীবাগে দুই কামরার একটি টিনের ঘরে বসবাস মাবিয়াদের। বাবা ছোট্ট মুদি দোকানদার। অর্থের অভাবে পড়ালেখাই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল মাবিয়াকে। অপরদিকে সাঁতারে দুটি স্বর্ণ পদক জেতেন মাহফুজা আক্তার শীলা। যশোরের নোয়াপাড়ার এই কন্যার পরিবারও নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে। মাহফুজার মা করিমন নেছা জানিয়েছিলেন, অভাবের কারণে মাহফুজার একটি স্বর্ণ পদক বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। খবরটা শুনে অনেক কেঁদেছিলেন শীলা। দুই স্বর্ণ কন্যার কৃতিত্বের বিষয়টি সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠে। তাদের পারিবারিক অবস্থা ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওদের পরিবার যাতে ভালো জায়গায় থাকতে পারে সে জন্য ঘরবাড়ি করে দেওয়া হবে। আমি তো আগেই এ নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement