আগামীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট ব্যবস্থা উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
Advertisement
তিনি বলেন, রেলের যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ— সেটা হলো টিকিট ব্যবস্থা। তবে, আজকে বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কমলাপুর রেলওয়ে ‘স্টেশনে রেল সেবা সপ্তাহ-২০২২’ এর উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন সচিব।
হুমায়ুন কবীর বলেন, আশাকরছি, আগামী ঈদে রেলের ভ্রমণ আরও সুন্দর হবে। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা আরও ভালো হবে। মানুষ সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ১০০ জন লোক যদি রেলের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ায় তাহলে আমরা ১৮ জনকে টিকিট দিতে পারি। শতকরা ৮২ শতাংশ মানুষকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়। তবে, টিকিট না পাওয়ার কারণে সমালোচনা হয়। কারণ মানুষ রেলে চড়তে চায়।
এ সময় যাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্দেশনা দেন রেলসচিব।
রেলের যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যাত্রী হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। রেলের বাথরুমগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। এছাড়া কেউ যেন রেলের সিটগুলোর কভার ব্লেড দিয়ে না কাটে। এগুলো হলো সাধারণ যাত্রীদের দায়িত্ব। কারণ রেল জনগণের সম্পদ।
তিনি বলেন, সচেতনতার জন্য নানা ধরনের লিফলেট তৈরি করা হয়েছে। যাত্রীদের সচেতন করতে দেশের স্টেশনগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হবে। রেল আমাদের সবার সম্পদ। সেবার সঙ্গে সবাই জড়িত। তাই যাত্রীদের সঙ্গে ভালো আচরণসহ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
Advertisement
অনুষ্ঠানে ভালো কাজ করার জন্য রেলওয়ের ৩২জন কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
এসময় রেল সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. সফিকুর রহমান, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রসহ অনেকে।
আরএসএম/এমএএইচ/এমএস