সাহিত্য

ফেরদৌস জান্নাতুলের দুটি কবিতা

অব্যক্ত

Advertisement

কেউ শুনছে নাকেবল বলছে অনর্গলদেখছে জলস্রোতের ভাঁজ, পাটাতনের চড়ুইভাতি।এদিকে বারেন্দ্রিক রোদ পরেসন্ধ্যা ঝুঁকে থাকে পশ্চিম জানালায়থরে থরে রাতজাগা শিউলি হাসে ভোরের কুয়াশায়।

চলতে চলতে বিরতির প্রয়োজনলু হাওয়ার পরশ, ঊর্ধ্বগতির ভাবরস।

নানাবিধ শ্রেণি ও সংখ্যার সফেদ হিসেবএলায়িত রেশমের তাঁতশালায় যেন এক অবাধ্য শব্দের বিস্ফোরণ ঘূর্ণির মতো ছুটে চেলে স্ফীত মেঘের নগরে।

Advertisement

****

বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ

ধরা যাক দূরত্ব একটি খাদ সত্তার গভীরে গিয়ে পুরোনো গল্পের মোড়ক উন্মোচনের হুল্লোড়-নিয়ন আলোর মতোই নিষ্প্রাণ মেকি প্রলোভন।

আমাদের অতিথি পাখিরা এখন দূরত্ব বোঝে না দূরন্ত ঘূর্ণির মতো ঘোরে চমৎকৃতের পথে পথে এরপর এক দুই তিন করে একে একে সবকটা কাঁটাতারেঝুলে থাকে পলাতক পতঙ্গ পা, শূন্য হৃদঘর, ঘন ঘোর।

Advertisement

বেরিকেটে পচন ধরেছে বহুকাল ক্ষীণ ল্যাম্পপোস্টের খোলা হাতল ধরে-হৈ মেরে আসো-দেখা যাক সংরক্ষিত পাতাবাহারদের বৈঠকে...

এসইউ/জিকেএস