দেশজুড়ে

বিবিরবাজার স্থলবন্দরে কাটেনি করোনার প্রভাব

এখনো করোনার নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি কুমিল্লার বিবিরবাজার স্থলবন্দর। দিনের অধিকাংশ সময়জুড়ে বন্দর এলাকায় থাকে পিনপতন নীরবতা। হঠাৎ কেউ দেখে বোঝার উপায় নেই এটি একটি বন্দর এলাকা। এখানে আগের মতো ট্রাকের দীর্ঘ লাইনও চোখে পড়ে না। পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেই কর্মচাঞ্চল্য। অলস সময় কাটাচ্ছেন খোদ বন্দরের কর্মকর্তারা।

Advertisement

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেলো, চাহিদা থাকা শর্তেও নানা জটিলতায় এই বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠানো যাচ্ছে না মাছ, পোলট্রি খাদ্য, গ্লাস ও সুতলিসহ বেশ কয়েকটি পণ্য। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

বিবিরবাজার স্থলবন্দর সূত্র মতে, সিমেন্ট, কয়লা, ঢেউটিন, সিমেন্ট শিট, গুঁড়া পাথর, পিভিসি কম্পাউন্ড, প্লাস্টিকের দরজা, ইট ভাঙার মেশিন, ধান মাড়াই কল ও কোমল পানীয়সহ কেবল ১৫ থেকে ২০টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। দেশের বড় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বন্দরটি চাঙা হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ভারত সরকারেরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিবিরবাজার স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, বন্দর এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যাপ্ত জনবল, ডিজিটাল স্কেলিং এবং পার্কিং ব্যবস্থাসহ সবকিছু রয়েছে। ফলে পণ্য খালাসে এখন কোনো সমস্যা নেই। তবে অনুমতি না থাকায় মাছ ও পোলট্রি খাদ্যসহ বেশ কয়েটি পণ্য চাইলেও রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চান তিনি। এই বন্দর দিয়ে কেবল মাছ রপ্তানি করে বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলেও মনে করেন জামাল আহম্মদ।

বিবিরবাজার স্থলবন্দরের ইনর্চাজ ফারজানা ইয়াছমিন জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এর প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। কারণ কোভিডের আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। বর্তমানে এর সংখ্যা মাত্র ১০ থেকে ১৫ ট্রাকে নেমে এসেছে। বর্তমানে বন্দর দিয়ে বেশিরভাগই সিমেন্টসহ নির্মাণ সামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে।

দেশের বড় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বন্দরটি আবারও চাঙা হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

কুমিল্লার বিবিরবাজার দেশের ১৩তম স্থলবন্দর। ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে এই বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানী থেকে সবচেয়ে কাছের স্থলবন্দর এটি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে এর মাধ্যমে। ২ দশমিক ৮৩ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত বন্দরটিতে বর্তমানে ৯ জন কর্মকর্তা আছেন। পণ্য খালাসে রয়েছে পর্যাপ্ত সরঞ্জামও।

Advertisement

এমআরআর/এসএইচএস/এমএস