শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশের বিমানবন্দরে করতে সৌদি আরবের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
Advertisement
গতকাল রোববার ঢাকা সফররত সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের নেতৃত্ব বাংলাদেশে আসা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বৈঠকে এসব চুক্তি সই হয়।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ দুটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, গত বছর হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশনটা এখানে হয়েছে। এবার চুক্তি হয়েছে এখন থেকে আমাদের হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন আমাদের এখানেই হবে। এটা একটা বড় অর্জন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১১ সালে যখন আমরা হজ করতে গেলাম অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এখন হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশনের বিষয়টি বাংলাদেশে হওয়ার বিষয়টি স্থায়ীভাবে হলো।
সৌদি আরবের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটার প্রধান বিষয় হলো সন্ত্রাসবাদ, মানবপাচার ও অর্থপাচার রোধ করা। মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধ করা, সৌদি আরবে দক্ষ জনবল পাঠানো ও ভিসা সহজ করা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
তিনি আরও বলেন, এ চারটি বিষয়ে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী এসেছেন। তার সঙ্গে জননিরাপত্তা বিভাগের এ চুক্তি হয়েছে। এখন সে বিষয়ে মন্ত্রিসভা এগ্রি করেছে। এ বিষয়ে ফাইন্যান্সিয়াল কিছু বিষয় আছে। সেসব বিষয়ে ওনারা ফাইন্যান্স থেকে একটা পর্যবেক্ষণ নেবেন।
Advertisement
গত শনিবার বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসেন দেশটির স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ। রোববার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঢাকা থেকে ইমিগ্রেশন ও সবকিছু ঠিকঠাক করে হজযাত্রীরা উড়োজাহাজে উঠে যাবেন। এ সুবিধাগুলো আগে পরীক্ষামূলকভাবে ছিল। এখন চুক্তির আওতায় নিয়মিত হবে।
তিনি বলেন, সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে হজে যাওয়ার জটিলতা কমিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে ঢাকাতেই হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ও লাগেজ তল্লাশির কাজ সম্পন্ন করা হবে।
আরএমএম/এমকেআর/এএসএম