সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর গত বছরের নভেম্বরে পাঠানো আবেদনটি নিষ্পত্তি করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
Advertisement
প্রাথমিকের ১৫ জন সহকারী শিক্ষকের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা ১৩ম গ্রেডে বেতন পান। তারা যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আছেন সে অনুসারে বেতন পাচ্ছেন না। অথচ একই ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সিনিয়র নার্সরা ১০ম গ্রেডে বেতন পান। বিষয়টি আদালতে রিটের পর শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন।
এছাড়া ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদনও জমা দেয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ। ‘প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দেওয়ার যৌক্তিকতার আলোকে প্রস্তাবনা প্রণয়ন প্রসঙ্গে’ শীর্ষক চিঠি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের পশ্চিম ইতাইলের মো. মাহবুবুর রহমান, একই এলাকার ফকিরপাড়ার মো. জহুরুল ইসলাম, ঢাকার শ্যামপুরের করিমউল্লাবাগের মুহাম্মদ আনোয়ার উল্লাহ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাদীপুরের মো. জুয়েল আহমেদ, যশোরের চৌগাছার স্বরূপদাহর মো. শহীদুজ্জামান, বগুড়ার গাবতলীর নিজগ্রামের সিদ্দিক মো. আবু বকর, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ইছাপুরার মোহাম্মদ তাসিফ আহমেদ, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুরের জাহেদুল আলম, সিলেটের বিশ্বনাথের হাশনাজীর নজরুল ইসলামসহ ১৫ জন সহকারী শিক্ষক গত ৮ নভেম্বর এ রিট করেন।
এফএইচ/জেডএইচ/বিএ/জেআইএম